সিবিএন ডেস্ক
আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য কমানো এবং সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ফেব্রুয়ারিতে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি। প্রথম কর্মসূচি হবে দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে, আর দ্বিতীয় কর্মসূচি সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা ফেরানোর দাবিতে। বিশেষ করে, দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে চাপে রাখতে দ্বিতীয় কর্মসূচির গুরুত্ব বেশি।
বিএনপি রোজার আগেই ঢাকাসহ সারাদেশে সমাবেশ করতে চায়। শিগগিরই বিভাগীয় সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেখানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপি মনে করছে, জুলাই-আগস্টের মধ্যেও নির্বাচন সম্ভব এবং সরকারকে চাপে রাখতেই তারা এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন চায়। তবে সরকার বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে যেকোনো সময় নির্বাচন হতে পারে। বিএনপি এই সময়কে অতিরিক্ত দীর্ঘ মনে করছে এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চায়।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ছাত্রদের ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ ঘোষণাপত্র নিয়েও আলোচনা হয়। বিএনপি এতে কিছু সংশোধন আনতে চাইলেও ছাত্রদের উদ্যোগকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করতে চায় না। দলটি মনে করে, বাহাত্তরের সংবিধানের মূলনীতি স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে পাওয়া, তাই সেটি বাতিল করা যুক্তিসঙ্গত নয়। তবে প্রয়োজন হলে পরিবর্তন বা সংশোধন আনা যেতে পারে।
বিএনপি ইতিমধ্যে ছাত্রদের ঘোষণাপত্র সংশোধন করেছে এবং আজ বুধবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এটি চূড়ান্ত হবে। এরপর শরিকদের মতামত নিয়ে সরকার আলোচনায় ডাকলে সম্মিলিত খসড়াটি উপস্থাপন করা হবে। বিএনপি মনে করে, ঘোষণাপত্রটি ‘প্রোক্লেমেশন’ নয়, বরং এটি রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৈরি ‘ডিক্লারেশন’ হওয়া উচিত।