রেলের রানিং স্টাফরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করায় সারা দেশে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ভোর থেকেই ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে রেল উপদেষ্টার বাসভবনে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শ্রমিক প্রতিনিধিদের পাশাপাশি মধ্যস্থতার জন্য উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও বিএনপির প্রতিনিধি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
এর আগে, গত সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতিতে যান রেলের রানিং স্টাফরা, যার ফলে সারা দেশে রেল যোগাযোগ অচল হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার দিনভর ট্রেনযাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে সরকারের উপদেষ্টাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হলেও সমাধান আসছিল না। যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পুনরায় বৈঠক শুরু হয়। শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
রেলপথ উপদেষ্টা জানান, রানিং স্টাফদের সুবিধা নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে এবং কিছু সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস পাওয়া গেছে। তবে মাইলেজ সুবিধা এক মাসের বেশি করা যাবে না, এমন দাবিও তোলা হয়েছে।
রেল উপদেষ্টার আশ্বাসের পর শ্রমিক নেতা মুজিবুর রহমান কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “যাত্রীদের দুর্ভোগ আমরা চাই না। বাধ্য হয়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলাম। স্টাফ ভাইদের বলব, তারা যেন নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরে যান।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ রাত সোয়া ২টার দিকে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তিনি লেখেন, “শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা রেল উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং সমস্যার সমাধান হয়েছে। রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন।”