বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান। তিনি বলেন, তাবলিগ জামাতের বিভেদ কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে না।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ইজতেমা মাঠ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় মূল মঞ্চসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন র্যাব প্রধান।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে ইতোমধ্যে তুরাগ তীরে ধর্মীয় মহাসমাবেশের রূপ নিয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমার নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সভা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে।শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বাদ ফজর বয়ান করবেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়া উল হক।সকাল ১০টায় বিভিন্ন খিত্তায় তালিমের আমল অনুষ্ঠিত হবে। জুমার নামাজ পড়াবেন মাওলানা জুবায়ের।
এবার বিশ্ব ইজতেমা তিনটি পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্ব: ৩১ জানুয়ারি (শুক্রবার) শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্ব: ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।তৃতীয় পর্ব: ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
ইজতেমার সব পর্ব শেষ হওয়ার পর ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের কাছে ইজতেমা ময়দান হস্তান্তর করা হবে।