বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমরা যদি সামগ্রিকভাবে নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারি, তাহলে কোনোভাবেই সমস্যার সমাধান করতে পারব না। নির্দিষ্ট সময়ের পর যে পরিস্থিতিই আসুক, নির্বাচন হতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই, কোনো আপস নেই।’
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) চুয়াডাঙ্গায় রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। কর্মশালায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার ৬ শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘দেশকে লুটপাটের পাশাপাশি ফ্যাসিস্ট হাসিনা ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন। বিএনপির দেওয়া ৩১ দফার ভিত্তিতে দ্রুত সংস্কার করে দেশ মেরামত করতে হবে। এরপর একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
জাতীয় বা স্থানীয় যে কোনো নির্বাচনের ক্ষেত্রে জনগণকে নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘যদি সমাজে জবাবদিহিমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা তৈরি করতে না পারি, তাহলে সব বৃথা।
তিনি জানান, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের উন্নয়নে ‘ফার্মার্স কার্ড’ চালু করবে, যার মাধ্যমে তারা ভর্তুকি, সার-বীজ ও পরিবারের চিকিৎসাসহ নানা সুবিধা পাবেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘দেশে ৭০ হাজার প্রশিক্ষিত নার্স রয়েছে, অথচ চিকিৎসা খাতে প্রতি বছর কয়েক বিলিয়ন ডলার বিদেশে চলে যায়। এটি বন্ধ করতে হবে এবং বেশি সংখ্যক নার্স তৈরি করে স্বাস্থ্য খাতকে শক্তিশালী করতে হবে।’
তিনি জানান, ‘অনার্স-মাস্টার্স পাস করা শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা যেন পরিবারের বোঝা না হয়, এজন্য ন্যূনতম এক বছর বেকার ভাতা দেওয়া হবে, যাতে তারা চাকরি খোঁজার জন্য অনুকূল পরিবেশ পান।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য আমেরিকান মডেলের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করা হবে।’
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। প্রধান আলোচক ছিলেন তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদি আমিন।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা, যাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক অ্যাডভোকেট হালিমা আর্লী, সহ-স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ ও মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।