মোঃ ওসমান গনি (ইলি), কক্সবাজার

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে এবং দাফন হয়েছে দিল্লিতে। তিনি বলেন, “মৃত শেখ হাসিনা কাফন ফুঁড়ে মাঝেমধ্যে কথা বলে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে, তবে সেই চেষ্টা কখনোই সফল হবে না।”

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার শহরের গোলচত্ত্বর মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বরের আগেই অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “যদি সত্যিই নিয়ত পরিষ্কার থাকে, তবে অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক। মানুষ রক্ত দিয়েছে এই দেশে হারানো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। তারা জীবন দিয়েছে একটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য।”

কিছু উপদেষ্টা জনগণের অনুভূতি বোঝেন না মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। মানুষ স্বস্তিতে থাকতে চায়, তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং দেশের অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন এখন জরুরি।”

গত ১৬ বছরে এত বড় পরিসরে কক্সবাজারে বিএনপির কোনো সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল উৎসাহ ও উদ্দীপনা। জেলার ৯ উপজেলার ১৪টি সাংগঠনিক ইউনিটের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণও সমাবেশে যোগ দেন।

নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি এবং রাষ্ট্রে ক্রমবর্ধমান ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, কেন্দ্রীয় সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।