সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
আত্মশুদ্ধি-আত্মগঠন ও তাকওয়া অর্জনের মাসকে কাজে লাগিয়ে বৈষম্য মুক্ত সমাজ গঠন করতে হবে।
পবিত্র রমজানই কুরআন নাজিলের মাস। কুরআন মানবজাতির প্রতি আল্লাহর দেয়া সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামাত। মানবতার মুক্তির সনদ এই কুরআনের অনুশাসন মেনে চলার মাধ্যমেই আমাদের দুনিয়ায় শান্তি ও পরকালিন মুক্তি সম্ভব। তাই আত্মসংযমের এমাসের শিক্ষাকে যথাযথ উপলব্ধি করে তাকওয়া ভিত্তিক সমাজ – রাস্ট্র গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।

শুক্রবার শহর জামায়াতের কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী কথাগুলো বলেন।

শহর আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রিয়াজ মুহাম্মদ শাকিলের পরিচালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা নায়েবে আমীর মুফতি মাওলানা হাবিবুল্লাহ ও এড. ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, জেলা সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম।

দারসুল কুরআন থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেন শহর কর্মপরিষদ সদস্য আবু সায়েম মুহাম্মদ ফুরকান ও মাওলানা রফিক বিন ছিদ্দিক।

উপস্থিত ছিলেন, শহর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি দরবেশ আলী মোহাম্মদ আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান, বায়তুলমাল সম্পাদক মাশরুর নিশাত, জাহেদুল ইসলাম নোমান।

বক্তারা আরো বলেন, পবিত্র কুরআন অধ্যয়নের মাধ্যমে কুরআনের জ্ঞান অর্জন এবং সেই অনুযায়ী নিজের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন গড়ে তোলার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করার মাধ্যমেই সত্যিকার অর্থে পবিত্র রমজান মাসের হক আদায় করা সম্ভব হবে। কুরআন থেকে হেদায়াত লাভের জন্য যে মন-মানসিকতা ও চরিত্রের প্রয়োজন, সেই মন ও চরিত্র গঠনের উদ্দেশ্যেই আল্লাহ তা’য়ালা মাহে রমাজানের সিয়াম পালনকে আমাদের জন্য ফরজ করেছেন। পূর্ণ মর্যাদা ও তাকওয়ার সাথে হক আদায় করে মাসব্যাপী সিয়াম পালনের মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।
কুরআন পড়ুন, কুরআন বুঝুন এবং আল-কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসাসহ সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া ও দুর্নীতি থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।