আব্দুস সালাম, টেকনাফ প্রতিনিধি;
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক এনামের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনগণ ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
এনামুল হক এনাম একজন আত্মস্বীকৃত মাদক কারবারি, বিএনপি নেতা ছিদ্দিক আহমদের দুই হাত কেটে হত্যাচেষ্টার প্রধান অভিযুক্ত, ফুটবলার জুবাইর হত্যা মামলার আসামি, টমটম চালক ফয়েজ হত্যা মামলার আসামি এবং মোট ৩৯টি মামলার আসামি।
রবিবার বিকেল ৩টায় টেকনাফ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ৩৯ মামলার আসামি এনামুল হক এনামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন হত্যা, অস্ত্র, মারামারি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার মামলায় পলাতক ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে টেকনাফ ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ৩৯টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ১০টি হত্যা, অস্ত্র, এবং সহিংসতার মামলা।
মানববন্ধনে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি (দুই হাত বিচ্ছিন্ন) ছিদ্দিক আহমদ, নিহত ফুটবলার জুবাইরের মা মাবিয়া খাতুন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা রবিউল আলম, ইয়াসমিন আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফরিদ আলম, নিহত জুবাইরের চাচা শামসুল আলমসহ প্রায় দেড়শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, “৩৯ মামলার এই আসামিকে তার প্রধান সহযোগী আফসারসহ দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “এনাম যদি জামিনে মুক্তি পায়, তাহলে আমরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে বাধ্য হবো। তার ভয়ংকর অপরাধের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে এবং তাকে কারাগারে রেখে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।”
বক্তারা আরও জানান, “এনামের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে অন্তত অর্ধশতাধিক পরিবার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে।”
এদিকে, এনামের গ্রেপ্তারের পর ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।