সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
কক্সবাজার থেকে প্রচারিত সিসিএন নামের একটি ফেসবুক পেইজ থেকে ” বিলাসবহুল গাড়িতে পাঁচ কোটি টাকার ইয়াবা,মূলহোতা চাকরিচ্যুত পুলিশের কনস্টেবল সাজ্জাদ” শিরোনামে রামু থানায় ৪০ হাজার ইয়াবাসহ আটক নেজাম উদ্দিনের ছবির সাথে সাজেদের ছবি এড করে পোস্ট করা হয়েছে। পরবর্তীতে কমেন্টে বিস্তারিত লিখে দেন সিসিএন। এমন অপপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাজেদ। প্রতিবাদে সাজেদ জানান,বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ওই ইয়াবার মালিক আমাকে বানিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে হীনম্মন্যতার পরিচয় দিয়েছে সিসিএনসহ জেলার কিছু অনলাইন পোর্টাল। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত মনগড়া ভিত্তিহীন অপপ্রচার। এসবের সাথে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে প্রচারিত মিথ্যা তথ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সিসিএন নামক অবৈধ অনলাইনের বিরুদ্ধে যথাযথভাবে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি।
এক প্রতিবাদ লিপিতে সাজেদ বলেন,
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, গেল রবিবার (২৩ মার্চ ২৫ ) এসআই ইসমাইল হোসেন সঙ্গীফোর্স নিয়ে প্রাইভেট নোহাগাড়ি থেকে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ নেজাম উদ্দিন নামে এক যুবককে আটক করে এবং দেলোয়ার নামে আরেকজনকে পলাতক আসামি করে রামু থানায় দুইজনের নামে মাদক মামলা দায়ের করা হয়। এজাহারে কোথাও আমার নাম উল্লেখ নেই। এমনকি আমার নামে বাংলাদেশের কোথাও কোনো মামলা নেই। সিসিএন নিউজে রামু থানার ওসির বরাতে আমার নাম লিখলেও,রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরি নিজেই আমাদের জানিয়েছেন যে,কোনো সাংবাদিক তাকে ফোন দেয়নি এবং তিনি কাউকে বলেননি কারো নাম। ওসির সাথে কথা না বলে কীভাবে অন্যজনের নাম মাদকের মতো ভয়ংকরকান্ডে ওসির বরাতে চালিয়ে দেয়? এ কেমন সাংবাদিকতা? এমনকি মামলার বাদী ইসমাইল হোসেন নিজেও আমাদের জানিয়েছেন যে,সাজেদ নামের কোনো ব্যক্তির নাম তাকেও জানাইনি আটক নেজাম উদ্দিন। পুলিশের মামলার এজাহারে নাম নেই,ওসি এবং বাদীর বক্তব্যেও জানা যায় যে,তারাও জানেন না আমার নাম । এমতাবস্থায় সিসিএনসহ অন্যান্য নিউজ পোর্টালে যারাই সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার নামে অপপ্রচার করে মানহানি করছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। নিউজের আগে অনেকে আমার কাছে টাকা দাবি করেছে,টাকা না দেওয়ায় এমন অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে তারা। সব প্রমাণ আমার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এমন জঘন্য অপপ্রচারে প্রশাসনসহ কাউকে বিভ্রান্তি না হওয়ার অনুরোধ করছি।
প্রতিবাদকারী
মুহাম্মদ সাজেদ
কুতুবদিয়াপাড়া, ৩ নং ওয়ার্ড, হোয়াইক্যং, টেকনাফ।