সংবাদদাতা:
কক্সবাজার শহরের কলাতলী চন্দ্রিমা প্রবেশমুখে পুলিশ ও হিজড়াদের ব্যবহার করে দিন দুপুরে ব্যক্তি মালিকানার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দীর্ঘ ৩০ বছরের চলাচলের পথ।
২৪ মার্চ এমন ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলেন ভুক্তভোগী বেলায়েত হোসেন।
তিনি জানান, পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের একটি চিহ্নিত দখলবাজ ও সন্ত্রাসীচক্র ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
সূত্রে জানা গেছে, বিরোধীয় জমিতে চন্দ্রিমা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষে আমমোক্তারনামা গ্রহীতা বেলায়েত হোসেন ২৪ মার্চ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। যার নং-৩২৮/২০২৫। মামলাটি আমলে নেন বিচারক। এরপর সরেজমিন তদন্তপূর্বক ২৮ এপ্রিলের মধ্যে মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিরোধী ও জায়গায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
বিরোধীয় জমি নিয়ে আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উল্টো পুলিশের সহায়তায় জমি দখলের অভিযোগ তুলেন বেলায়েত হোসেন।
তিনি বলেন, আমি ক্রয় সূত্রে জায়গার মালিক। স্বপক্ষে খতিয়ান, খাজনা, দাখিলাসহ সবকিছু আপটুডেট আছে। জমিতে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলেও আছি।
বেলায়েত হোসেন বলেন, আমার জমিতে হঠাৎ হোটেল ওশান প্যারাডাইসের নামে একটি সাইনবোর্ড দেখি। এরপর হোটেলের মালিকের সঙ্গে দেখা করি। আমার জায়গা কেন দখল করছে, জানতে চাই। তিনি আমার জায়গার পক্ষে কাগজপত্র দেখতে চাইলে সব তাকে দিই। এরপর কাগজপত্র দেখে আমার জায়গা হলে আমাকে দিয়ে দিবেন বলে জানান। এরই মধ্যে হঠাৎ করে হিজড়া ও পুলিশ ব্যবহার করে আমার জায়গা দখলে নিয়েছেন। এমন ঘটনা স্বৈরাচারের আমলেও হয়নি।
ভুক্তভোগী বেলায়েত হোসেন আরো বলেন, এই জায়গার পক্ষে অপর মামলা নং:৩২/১১ আদালতে চলমান রয়েছে। ওই মামলায় অলরেডি বলা আছে, বিরোধীয় জমিতে কোন ধরনের স্থাপনা কিংবা বাদীকে উচ্ছেদ করা যাবে না। কিন্তু আদালতের নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে গায়ের জোরে দখলবাজিতে মেতেছে চিহ্নিত চক্রটি।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, দখলবাজিতে সন্ত্রাসী গ্রুপ ও পতিত স্বৈরাচারের কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা ব্যবহার করা হয়েছে। জড়িত রয়েছে এলাকার ভূমিদস্যরা।
এ বিষয়ে সমস্ত ডকুমেন্ট যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন ভুক্তভোগী বেলায়েত হোসেন।