সিবিএন ডেস্ক:
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সমুদ্রবেষ্টিত পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার অন্যতম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার সিটি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স চালু হয় ২০১৮ সালে। সম্প্রতি এই বিভাগের প্রথম ব্যাচ তাদের চূড়ান্ত অনার্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং শতভাগ সাফল্যের পাশাপাশি ব্যতিক্রমী ফলাফল অর্জন করেছে।
২০২২ সালের অনার্স চূড়ান্ত পরীক্ষায় (সমন্বিত) পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে জেলার সর্বোচ্চ জিপিএ অর্জনকারী শিক্ষার্থী কক্সবাজার সিটি কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী তারিক হোসেন, যার সিজিপিএ ৩.৭৭ (৪.০০-এর মধ্যে)।
অন্যদিকে, রেলি আকতার ৪র্থ বর্ষে ৩.৮৮ সিজিপিএ অর্জন করে কক্সবাজার সিটি কলেজের ইতিহাসে সর্বোচ্চ জিপিএধারী শিক্ষার্থী হয়েছেন। জেলার পদার্থবিজ্ঞান বিভাগেও এটি সর্বোচ্চ অর্জন।
২০১৮ সালে মাত্র ৪১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ যাত্রা শুরু করলেও, প্রথম ব্যাচে অনার্স সম্পন্ন করেছে ২০ জন শিক্ষার্থী। ২০২২ সালে তাদের অনার্স শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২০ জনের মধ্যে ১৪ জনের জিপিএ ৩.০০-এর উপরে, আর বাকি ৬ জন ২.৮০-এর উপরে জিপিএ অর্জন করেছে।
কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আকতার চৌধুরী বলেন,
“পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এই সাফল্যে আমি মুগ্ধ। এই বিভাগের শিক্ষকরা অত্যন্ত পরিশ্রমী। ক্লাস, উপস্থিতি ও ব্যবহারিক কার্যক্রমের মান বজায় রাখার জন্য তারা সবসময় নিবেদিত থাকেন। আমি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আরও বড় সাফল্য কামনা করছি।”
“২০১৮ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সর্বপ্রথম কক্সবাজার সিটি কলেজে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে কক্সবাজার সরকারি কলেজেও এই বিষয়টি চালু হয়। আমাদের কলেজে প্রায় কোটি টাকার অত্যাধুনিক পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব রয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।”
বিভাগীয় প্রধান জেবুন্নেছা বলেন,
“আমরা শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করি। ভালো ফলাফল অব্যাহত রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,
“আমাদের ৬ জন শিক্ষক মিলে সর্বোচ্চ মানের শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছি। বিভাগের শিক্ষার্থীরা বরাবরই মেধাবী। ভবিষ্যতে আমরা আরও ভালো ফলাফল উপহার দিতে চাই।”
কক্সবাজার সিটি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম ব্যাচের এই সফলতা ভবিষ্যতে আরও শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা করা যায়। শিক্ষকদের দিকনির্দেশনা ও পরিশ্রম, আধুনিক ল্যাব সুবিধা, এবং শিক্ষার্থীদের মেধা ও প্রচেষ্টার সমন্বয়ে এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।