সিবিএন ডেস্ক ;
কক্সবাজারের ইনানী সৈকতে ৯ এপ্রিল (বুধবার) অবমুক্ত করা হয়েছে জলপাই রঙা সামুদ্রিক কাছিম বা অলিভ রিডলি টারটলের ৬ হাজারের বেশি বাচ্চা। কক্সবাজার বনবিভাগ এবং নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত কাছিম নার্সারিতে জন্ম নেওয়া এসব বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক ড. মোল্যা রেজাউল করিম। তিনি বলেন, “অলিভ রিডলি টারটল বঙ্গোপসাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাসিন্দা। এরা সাগরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নেকমের ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম জানান, কক্সবাজার উপকূলজুড়ে ১২টি পয়েন্ট থেকে কাছিমের ডিম সংগ্রহ করা হয়। ২৬ হাজার ৭৭০টি ডিম নার্সারিতে পরিচর্যার মাধ্যমে ফুটানোর চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত ৬০০০ এর বেশি বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর শীত মৌসুমে জলপাই রঙা কাছিম ডিম পাড়তে সৈকতে আসে। কিন্তু কুকুরের আক্রমণ, মানবিক কার্যক্রম এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এদের ডিমপাড়া স্থান হুমকির মুখে পড়ছে। এক জরিপে দেখা গেছে, এক দশক আগে যেখানে ৫২টি স্থানে কাছিম ডিম দিত, বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৪টিতে।
এই অবমুক্ত কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান, নেকমের ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম ও বন বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
চলমান এই উদ্যোগ সমুদ্র ও উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
