টেকনাফ প্রতিনিধি;

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ মাঝেরপাড়া সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন হ্যাচারিতে জন্ম নেওয়া ৫২১টি কাছিমছানা সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) এর প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন ম্যানেজার আবদুল কাইয়ুম।

আবদুল কাইয়ুম জানান, মাঝেরপাড়ার সমুদ্রসংলগ্ন এলাকা থেকে এ বছর ৮ হাজার ৫০০ কাছিমের ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ ডিম থেকে বাচ্চা ফুটেছে এবং ইতোমধ্যে চার হাজার ৫০০ ছানা কয়েক ধাপে সমুদ্রে অবমুক্ত হয়েছে।

সোমবার সকালে সাবরাং ইউনিয়নের ঘোলারচর সমুদ্রসৈকতে বড় দুইটি প্লাস্টিকের বোলে করে কাছিম ছানাগুলো সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হয়। নেকমের কর্মী আলী জোহার ও মো. ফয়সাল এ কাজে অংশ নেন।

এ বছর টেকনাফসহ পুরো জেলাজুড়ে ১২টি পয়েন্ট থেকে মোট ২৫ হাজার ৭০০টি কাছিমের ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান আবদুল কাইয়ুম।

তিনি আরও বলেন, সমুদ্রের ময়লা, আগাছা এবং মাছের পোনার জন্য হুমকিস্বরূপ জেলিফিশ খেয়ে কাছিম জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বন ও পরিবেশ অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে নেকম গত ২০ বছর ধরে কাছিম সংরক্ষণে কাজ করে যাচ্ছে।

সম্প্রতি নেকমের এক জরিপে দেখা গেছে, বর্তমানে কেবল ৩৪টি স্থানে সামুদ্রিক কাছিম ডিম পাড়তে আসছে, যা এক দশক আগেও ছিল ৫২টি। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, ডিমপাড়ার নিরাপদ স্থান সংকুচিত হয়ে পড়েছে, যা কাছিম সংরক্ষণের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।