ডেস্ক নিউজ

চট্টগ্রামে অবস্থানরত এক বিসিএস পরীক্ষার্থীর জীবনে নেমে এসেছে অপ্রত্যাশিত এক ঝড়। মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আগস্টে অনুষ্ঠিতব্য ৪৭তম বিসিএস (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষার্থী, একজন শিক্ষক, ও বর্তমানে বঙ্গবন্ধু ল টেম্পলের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।তার বিরুদ্ধে নরসিংদীতে হঠাৎ একটি অস্ত্র মামলার অভিযোগ উঠেছে। তবে তিনি দাবি করছেন, এটি একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র এবং তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ।

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বর্তমানে চট্টগ্রামে বসবাস করছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করিয়ে নিজের ও পরিবারের খরচ চালান। তিনি সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে এমবিএ শেষ করে এখন এলএলবি করছেন। তার ছোট ভাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ছোট বোন চট্টগ্রাম কলেজে অধ্যয়নরত।

বাবা-মা দুজনেই অসুস্থ। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে আবদুল্লাহ ও তার ভাইবোন মিলে টিউশন করে চিকিৎসা ও পড়াশোনার ব্যয় বহন করেন। এমন পরিস্থিতিতে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিতে পারছেন সীমিতভাবে।

১৯ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে কক্সবাজারের নিজ বাড়িতে পুলিশ জানায়, নরসিংদীতে একটি অস্ত্র মামলায় তার নাম রয়েছে। অথচ আবদুল্লাহর ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি কখনো চট্টগ্রামের বাইরে যাননি। এমনকি চাকরির পরীক্ষার জন্য ঢাকায় যাওয়ার সুযোগও হয়নি। বাবা-মা দুজনেই অসুস্থ ,বাবার কোনো আয় নেই। খেয়ে না খেয়ে পড়াশোনা করে মাস্টার্স শেষ করে এখন ছোট ভাইবোনকে দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াচ্ছে।

এজাহারে তার বাবার নামের স্থানে ছোট ভাইয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যা পুরো ঘটনার সন্দেহজনক দিকটি আরও স্পষ্ট করে।

আবদুল্লাহ বলেন, ১২ বছর ধরে শিক্ষকতা করছি। একাধিক কোচিং সেন্টারে ক্লাস নিচ্ছি। আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বিসিএস ক্যাডার হওয়া। এমন একজন মানুষ কীভাবে অস্ত্র মামলায় যুক্ত থাকতে পারে?

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ দেশের প্রশাসন, মানবাধিকার সংগঠন এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি আবেদন জানিয়েছেন, যাতে এই মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত হয়। তিনি চান তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার লোকেশন ট্র্যাক, সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ এবং স্থানীয় সাক্ষীদের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক।

নরসিংদীতে করা অস্ত্র মামলায় তার নাম সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এমনটাই দাবি করে তিনি বলেন, এই মিথ্যা মামলা শুধু আমাকে নয়, আমার পরিবারের স্বপ্নও ধ্বংস করে দেবে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রশাসনের প্রতি আস্থা রেখেই বিচার চাই।”