আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর হই। অদ্য ১০/০৪/২০১৭ইং তারিখ কক্সবাজার হতে প্রকাশিত ও প্রচারিত স্থানীয় দৈনিক বাঁকখালী ও রুপসীগ্রাম পত্রিকায় উপরোক্ত শিরোনামের সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি পড়ে আমরা হতবাক, আশ্চর্য্য ও মর্মাহত হয়েছি। কারণ সংবাদটি ঐতিহ্যবাহী কক্সবাজার পৌরসভার ভাবমূর্তি ও মর্যাদাহানীকর, বিধায় এই বিষয়ে যাছাই-বাছাই পূর্বক আমাদের বক্তব্য প্রকাশ করছি।
বক্তব্য: বর্তমান পৌর সচিব কক্সবাজার পৌরসভায় যোগদানের পর হইতে মনগড়া কিছু নিয়ম কানুন তৈরী করে তাহা অধস্থন কর্মকর্তা/ কর্মচারী/ ঠিকাদারদের উপর চাপিয়ে প্রতিমাসে বড় অংকের আর্থিক অনিয়ম করিয়া আসিতেছিলেন। যেমন- ১) পৌরসভা কর্তৃক পরিচালিত মোবাইল কোর্ট সমূহে সাধারণ ভাবে পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বাহিরের কোন শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে আমরা অবগত নয়। অথচ প্রতিটি মোবাইল কোর্টে শ্রমিক নিয়োগ দেখিয়ে ২০-৪০ হাজার টাকা মিথ্যা বিল তৈরী করে উত্তোলন করে। যাহা তদন্তে প্রমাণিত হবে। ২) যোগদানের পর হতে সচিব কনজার্ভেন্সী বিভাগে সুপারভাইজার ও লেবার/সুইপারদের কাছে মাথাপিছু ০৪/০৫শ টাকা দাবী করে আসছিল। বিনিময়ে কর্মে হাজির থাকা না থাকার বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় এই বিভাগে চাকুরীরতদের উপর পরিচালনা শুরু করেন নানা হয়রানী ও আক্রোশ। চাকুরী বিধি নীতিমালা লংঘন করে কনজার্ভেন্সী পরিদর্শকের কাছ থেকে স্টাফ হাজিরা খাতা কেড়ে নেন এবং তাহার দপ্তরে এসে হাজিরা দেওয়ার নিয়ম জারি করেন। যাকে ইচ্ছা হাজিরা দেন, যাকে ইচ্ছা গরহাজির দেখান। ওয়ার্ড কাউন্সিলররা হাজির আছেন মর্মে প্রত্যয়ন দিলেও তাহা আমলে নেয় না। ফলে পুরো শহরের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজের গতি হারিয়ে শহরটি ময়লা-আবর্জনার শহরে পরিণত হয়েছে। ৩) ঠিকাদারদের বিল প্রদান, খুচরা মালামাল ক্রয়, অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ, টিএ/ডিএ সহ নানা আর্থিক খাতে বর্তমান সচিব অনিয়মের এক স্বর্গরাজ্য তৈরী করেছে। যাহা পৌরসভা সংশ্লিষ্ট সকলেরই জানা। ইতিমধ্যে ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ আরো অনেকেই বিষয় সমূহ নিয়ে প্রতিবাদ মুখর ভুমিকা নেওয়া শুরু করেন। আগামী পরিষদ সভায় সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য নীতিগত প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। বিষয় সমূহ জানতে পেরে দুর্নীতিবাজ, অহংকারী, নারী লোভী, স্বেচ্ছাচারী বর্তমান পৌর সচিব তাহার অনিয়মের সিন্ডিকেট সদস্যদের পরামর্শে আকাম ও কু-কর্ম ঢাকতে সু-কৌশলে কক্সবাজার পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জননেতা জাবেদ মোহাম্মদ কায়ছার নোবেল এর বিরুদ্ধে সাজানো, নাটকীয় ও আক্রোশমূলক মামলা দায়ের করেন। উক্ত সাজানো ঘটনাটি টাকার বিনিময়ে পত্রিকায় প্রকাশ করে পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের মর্যাদাহানী করার চেষ্টা করেন।
আমরা কাউন্সিলরগণ এই সমস্ত কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে স্ব-উদ্যোগে মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার করে পৌরবাসীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য দায়ী পৌর সচিব রাসেল চৌধুরীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি সচিব রাসেল চৌধুরীকে অবিলম্বে শাস্তিমূলক বদলী করার জন্য মাননীয় স্থানীয় সরকার সচিব বরাবরে আবেদন করছি। অন্যথায় পরবর্তীতে সকল পৌর কাউন্সিলরগণ কর্ম বিরতি সহ বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।