ডেস্ক নিউজ:
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়াবাংলাদেশের জনগণকে অন্ধকারে রেখে সরকার প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সমঝোতা ও চুক্তি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘এসব চুক্তি ও সমঝোতার বিষয়ে সংসদে কোনও আলোচনার হয়নি।’
বুধবার বিকেলে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘জনগণের দাবি অনুযায়ী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থান পরিবর্তনের জন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ভারতের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ ও জাতির ভবিভষ্যৎ জড়িত রয়েছে এমন কোনও বিষয়ে বিএনপি চুপ থাকতে পারে না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি নাকি এ সফরে তৃপ্ত। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তৃপ্ত নয় বরং আতঙ্কিত।’
তিনি বলেন, ‘আমারা সুস্পষ্ট করে বলতে চাই, ভারতের সঙ্গে আমাদের বৈরিতা নেই। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধানে আমরা বিশ্বাসী।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘ভাটির দেশ হিসেবে আন্তজাতিক সব নদীর পানি পাওয়া আমাদের অধিকার। এটা কারও দয়ার বিষয় নয়। তিস্তার পানি জটিলতার বিষটি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকেই সমাধান করতে হব।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সংবাদ সম্মেলনে যেসব সাফ্যলের চিত্র তুলে ধরেছেন তার বেশির ভাগ অসত্য ও এক তরফা।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়াতিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার সফর চরমভাবে ব্যর্থ বলে মনে করে দেশের জনগণ। এটা শুধু দেওয়ার সফর, তবে পাওয়ার সফর না। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। আওয়ামী লীগ বিদেশী মদদে আবারও ক্ষমতায় আসার চক্রান্ত করেছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ভারতে স্বাগত জানানো, কোথায় থাকতে দেওয়া হয়েছে? এসব বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণ জানতে চায় না। দেশের মানুষ আপ্যায়নের চাইতে তাদের ন্যায্য পাওনা কী এসেছে তা জানতে চায়।
চুক্তির প্রতিবাদে কোনও কর্মসূচি দেবেন কিনা বা ক্ষমতায় গেলে চুক্তি পুর্ণমূল্যায়ন করা হবে কিনা- প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনও একটি কর্মসূচি। দেশের মানুষকে জানাতে আমাদের এ আয়োজন। আর ক্ষমতায় গেলে দেশের স্বার্থে চুক্তি রিভিউ করবো।’
আপনি বলছেন শেখ হাসিনার সফর জনগণ ব্যর্থ মনে করে। কিন্তু এ বিষয়ে বিএনপি কী মনে করে- এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। জনগণ যা মনে করে আমরাও তাই মনে করি।’
দেশ বিক্রি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনি সাংবাদিক, আপনারা বেশি জানেন।’
প্রধানমন্ত্রীর সফরে বাংলাদেশের রামপাল নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। এ বিষয়ে বিএনপি কোনও কমর্সূচি দেবে কিনা- জানতে চাইলে জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা আগেও অনেক কর্সসূচি দিয়েছি, আরও দেবো। কারণ রামপাল হলে ভারতও ক্ষতিগ্রস্থ হবে।’
আগামী নির্বাচনে ভারতের প্রভাবের আশঙ্কা করছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমরা সব সময় বলেছি, বিএনপি সব সময় জনগণের রায়ে ক্ষমতায় এসেছে। আমরা চাই কোনও দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেন হস্তক্ষেপ না করুক।’
সুপ্রিম কোর্টে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এটা আমাদের ব্যাপার নয়। এ বিষয়ে কী করবেন, না করবেন সেটা প্রধান বিচারপতি বিচার করেবন। এটা সুপ্রিম কোর্টের বিষয়।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের খালেদা জিয়া বলেন, ‘শেখ হাসিনা দিল্লির লাড্ডু খাইয়েছেন, আর আমরা দেশের লাড্ডু খাওয়াবো।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।