ডেস্ক নিউজ:

জঙ্গি রিপনসিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকরে ১০ জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদের মধ্য থেকে শেষ পর্যন্ত কয়েকজনকে বাছাই করে ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ছগির মিয়া। বুধবার বিকালে পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন বলেও জানিয়েছেন জেল সুপার। ফলে সন্ধ্যার আগে তার ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে না।

জেল সুপার ছগির মিয়া জানান, জঙ্গি রিপন এখনও স্বাভাবিক আছে। সে তার শেষ ইচ্ছার বিষয়ে কিছু বলেনি। তবে রোজা রাখায় বাবা-মার সঙ্গে ইফতার করতে চেয়েছে। বিকালে তার বাবা-মা আসবেন।

তিনি আরও জানান, রিপনের ফাঁসি কার্যকরে ১০ জন জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। কারাগার ও এর আশপাশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাষ্ট্রপতির কাছে করা রিপনের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে। এরপর তা রিপনকে পড়ে শোনানো হয়। পরে বিকালে বাবা আ. ইউসুফ, মা আজিজুন্নেছা, ভাই নাজমুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রিপনের সঙ্গে দেখা করেন।

উল্লেখ্য, সিলেটের হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারে ২০০৪ সালের ২১ মে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মুফতি হান্নানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখেন। এরপর তিন আসামিই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি আবেদন খারিজ করে দেন। এখন ফাঁসি কার্যকরে আর কোনও আইনি বাধা নেই। মুফতি হান্নান ও বিপুল গাজীপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে বন্দি আছেন।