রাশেদুল মজিদ:
সরকার ও লীজ গ্রহিতার মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় প্রায় দেড়’শ কোটি টাকার সরকারি জমি হাতিয়ে নিতে অপতৎপরতা শুরু করেছে একটি ভূমিগ্রাসী চক্র। খোদ প্রশাসনের এক শ্রেনীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসে সেখানে ইতিমধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে ২০/৩০টি ঝুপড়ি দোকান। আর গত চারদিন ধরে দিনে-রাতে প্রকাশ্যে চলছে পাহাড় কেটে পিকআপ নিয়ে আনা মাটি দিয়ে এসব জমি ভরাটের কাজ। কক্সবাজার শহরের কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনের সূগন্ধা পয়েন্ট সড়কের দক্ষিণপাশে দখল-বেদখলের এ ঘটনা চলছে। দ্রুত এসব অবৈধ জবর দখলের কর্মকান্ড বন্ধ করা না হলে সরকারের মূল্যবান এসব জমি বেহাত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে এভাবে যত্রতত্র অপরিকল্পিত ঝুপড়ি নির্মাণের ফলে পুরো পর্যটন শহরের সৌর্ন্দয্য নষ্ট হতে চলেছে বলেও মনে করেন সচেতন মহল। শহরে এভাবে যত্রতত্র জমি ভরাট, ঝুপড়ি তৈরীসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘প্রকাশ্যে জমি ভরাটের বিষয়টি আমি দেখেছি। এখন সেখানে আমার কিইবা করার আছে। সেটি জেলা প্রশাসকের জমি। তারাই এটি দেখভাল করবে। আমি এসব বিষয় নিয়ে অনেক কথা বলেছি। মন্ত্রণালয়েও এসব বিষয় অবহিত করেছি। পর্যটন ও কক্সবাজারের স্বার্থে এসব বিষয় দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার।’
এদিকে সরকারের ওই জমি দখল করে ভরাটের বিষয়ে প্রশাসনের অভ্যন্তরে বুধবার পুরো দিনই চলে নানা নাটকীয়তা। অবৈধভাবে জমি ভরাটের ঘটনা জানতে পেরে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পঙ্কজ বড়–য়া। গতকাল বুধবারও সকাল এবং বিকাল দু’বেলা তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান। কিন্তু গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামকে ঘটনা অবহিত করা হলে তিনি বলেন, ‘সূগন্ধা পয়েন্ট সড়ক থেকে যেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল তা আবার গড়ে উঠেছে কিনা তাই শুধুমাত্র আমি দেখছি। গতকালও আমি সেখানে ঘুরে এসেছি। সব ঠিকঠাক আছেই তো দেখেছি।’ সড়কের পাশে স্থাপনা নির্মান ও সরকারি জমি দখল করে ভরাটের বিষয়ে অবহিত করলে তিনি বলেন, ‘এসব বরাদ্দ দেয়া ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। সেখানে তারা ভরাট করলে আমার কিছুই করার নেই।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আনোয়ারুল নাসের গতকাল দুপুরে বলেন, ‘ঘটনাটি আমার নজরে ছিল না। আমি দ্রুত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
গতকাল রাতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। তা নিয়ে আমি ইউএনও এবং এসিল্যান্ড এর সাথে কথা বলেছি। তারা তো আমাকে এসব জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন বলে মৌখিক রিপোর্ট দিয়েছে।’ এক পর্যায়ে তিনি দ্রুত খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।
পাহাড় কেটে মাটি নিয়ে ভরাট করার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যারা পাহাড় কাটছে ও পাহাড় কেটে মাটি নিয়ে আসছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সূত্র জানিয়েছে, জমি দখলের ঘটনায় জড়িত প্রশাসনের অভ্যন্তরে থাকা চক্রটি জমির বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভুল ধারণা দিচ্ছেন। এভাবে প্রশাসনের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করে জমিটি হাতিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে চলেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজার শহরের কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোন এলাকার বিএস-১ নং খতিয়ানের ১৩০ একর জমির মধ্যে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর ৮৭টি প্লটের বিপরীতে ৮৬.৩১ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। আর ওই বরাদ্দের মধ্যে ঢাকার মরহুম ইউনুছ আলী খানের পুত্র ফরিদুর রহমান খান এক একর ৬৩ শতক এবং মরহুম এম.এ রশিদের পুত্র আক্তার মাহমুদ রানার নামে দুই একর জমি নিয়ে হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় ২৮/এ, ২০/এ, ২৮/বি ও ২০/বি নামে সরকারের পক্ষ থেকে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ২০১০ সালে সরকার এসব প্লটের বরাদ্দ বাতিল করে লাল পতাকা দিয়ে এসব জমি নিজেদের আয়ত্ত্বে ¡নেয়। পরে লীজ গ্রহিতারা উচ্চ আদালতে রিট করলে স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দেন আদালত। বর্তমানে সরকার ও লীজ গ্রহিতার মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তৃতীয় একটি ভূমিগ্রাসী চক্র প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাত করে প্রায় দেড়’শ কোটি টাকা মূল্যের এ জমি হাতিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে। গতকালও ওই জমিতে কাজ করেছে শ্রমিকরা।কলাতলীতে দেড়শ কোটি টাকার সরকারি জমি দখলে তৃতীয় পক্ষ
রাশেদুল মজিদ
সরকার ও লীজ গ্রহিতার মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় প্রায় দেড়’শ কোটি টাকার সরকারি জমি হাতিয়ে নিতে অপতৎপরতা শুরু করেছে একটি ভূমিগ্রাসী চক্র। খোদ প্রশাসনের এক শ্রেনীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসে সেখানে ইতিমধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে ২০/৩০টি ঝুপড়ি দোকান। আর গত চারদিন ধরে দিনে-রাতে প্রকাশ্যে চলছে পাহাড় কেটে পিকআপ নিয়ে আনা মাটি দিয়ে এসব জমি ভরাটের কাজ। কক্সবাজার শহরের কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনের সূগন্ধা পয়েন্ট সড়কের দক্ষিণপাশে দখল-বেদখলের এ ঘটনা চলছে। দ্রুত এসব অবৈধ জবর দখলের কর্মকান্ড বন্ধ করা না হলে সরকারের মূল্যবান এসব জমি বেহাত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে এভাবে যত্রতত্র অপরিকল্পিত ঝুপড়ি নির্মাণের ফলে পুরো পর্যটন শহরের সৌর্ন্দয্য নষ্ট হতে চলেছে বলেও মনে করেন সচেতন মহল। শহরে এভাবে যত্রতত্র জমি ভরাট, ঝুপড়ি তৈরীসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অবঃ) ফোরকান আহমেদ। তিনি বলেন, ‘প্রকাশ্যে জমি ভরাটের বিষয়টি আমি দেখেছি। এখন সেখানে আমার কিইবা করার আছে। সেটি জেলা প্রশাসকের জমি। তারাই এটি দেখভাল করবে। আমি এসব বিষয় নিয়ে অনেক কথা বলেছি। মন্ত্রণালয়েও এসব বিষয় অবহিত করেছি। পর্যটন ও কক্সবাজারের স্বার্থে এসব বিষয় দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার।’
এদিকে সরকারের ওই জমি দখল করে ভরাটের বিষয়ে প্রশাসনের অভ্যন্তরে গতকাল পুরো দিনই চলে নানা নাটকীয়তা। অবৈধভাবে জমি ভরাটের ঘটনা জানতে পেরে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কক্সবাজার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পঙ্কজ বড়–য়া। গতকাল বুধবারও সকাল এবং বিকাল দু’বেলা তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান। কিন্তু গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামকে ঘটনা অবহিত করা হলে তিনি বলেন, ‘সূগন্ধা পয়েন্ট সড়ক থেকে যেসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল তা আবার গড়ে উঠেছে কিনা তাই শুধুমাত্র আমি দেখছি। গতকালও আমি সেখানে ঘুরে এসেছি। সব ঠিকঠাক আছেই তো দেখেছি।’ সড়কের পাশে স্থাপনা নির্মান ও সরকারি জমি দখল করে ভরাটের বিষয়ে অবহিত করলে তিনি বলেন, ‘এসব বরাদ্দ দেয়া ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। সেখানে তারা ভরাট করলে আমার কিছুই করার নেই।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আনোয়ারুল নাসের গতকাল দুপুরে বলেন, ‘ঘটনাটি আমার নজরে ছিল না। আমি দ্রুত খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
গতকাল রাতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। তা নিয়ে আমি ইউএনও এবং এসিল্যান্ড এর সাথে কথা বলেছি। তারা তো আমাকে এসব জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন বলে মৌখিক রিপোর্ট দিয়েছে।’ এক পর্যায়ে তিনি দ্রুত খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।
পাহাড় কেটে মাটি নিয়ে ভরাট করার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যারা পাহাড় কাটছে ও পাহাড় কেটে মাটি নিয়ে আসছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সূত্র জানিয়েছে, জমি দখলের ঘটনায় জড়িত প্রশাসনের অভ্যন্তরে থাকা চক্রটি জমির বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ভুল ধারণা দিচ্ছেন। এভাবে প্রশাসনের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করে জমিটি হাতিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে চলেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজার শহরের কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোন এলাকার বিএস-১ নং খতিয়ানের ১৩০ একর জমির মধ্যে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর ৮৭টি প্লটের বিপরীতে ৮৬.৩১ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। আর ওই বরাদ্দের মধ্যে ঢাকার মরহুম ইউনুছ আলী খানের পুত্র ফরিদুর রহমান খান এক একর ৬৩ শতক এবং মরহুম এম.এ রশিদের পুত্র আক্তার মাহমুদ রানার নামে দুই একর জমি নিয়ে হোটেল-মোটেল জোন এলাকায় ২৮/এ, ২০/এ, ২৮/বি ও ২০/বি নামে সরকারের পক্ষ থেকে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ২০১০ সালে সরকার এসব প্লটের বরাদ্দ বাতিল করে লাল পতাকা দিয়ে এসব জমি নিজেদের আয়ত্ত্বে ¡নেয়। পরে লীজ গ্রহিতারা উচ্চ আদালতে রিট করলে স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দেন আদালত। বর্তমানে সরকার ও লীজ গ্রহিতার মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তৃতীয় একটি ভূমিগ্রাসী চক্র প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হাত করে প্রায় দেড়’শ কোটি টাকা মূল্যের এ জমি হাতিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করেছে। গতকালও ওই জমিতে কাজ করেছে শ্রমিকরা।
ডিসি না থাকার সুযোগ নিতে চায় দখলদাররা
কক্সবাজার শহরের কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোনের দেড়’শ কোটি টাকার সরকারি জমি হাতিয়ে নিতে ২০ জনের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়িত হয়েছে। সিন্ডিকেটে রাজনৈতিক দলের নেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, জমির দালাল, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি সহ প্রায় ২০ জনের নাম রয়েছে। সিন্ডিকেটটি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের অনুপস্থিতিতে দখল ও ভরাটের মতো যাবতীয় কাজ শেষ করে নিতে চায়। একটি বিশ্বস্থ সূত্র এসব বিষয় নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, সাড়ে তিন একরের দেড়’শ কোটি টাকা মূল্যের ওই জমি হাতিয়ে নিতে গত ৫/৬ বছর আগে মিঠু ও রাসেল নামের দুই ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি চক্র মাঠে নামে। শুরুতে তারা সূগন্ধা সড়কের পাশে ভাসমান ও ঝুপড়ি দোকান নির্মাণ করে। পরে ধীরে ধীরে তারা সড়কের পেছনে সরকারি ওই জমি ভরাট করে দোকান ও ঘর নির্মাণ শুরু করে। সেসময় স্থানীয় প্রশাসনের বেশ কয়েকবার অভিযানে এসব উচ্ছেদও করা হয়। এক পর্যায়ে চক্রটি আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিটও দায়ের করে। এসব রিটের আদেশে আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিলেও দখলদাররা দখল, ভরাট এবং স্থাপনা নির্মান কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। অপরদিকে অভিযান থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ম্যানেজ করে সাধারণ লোকজনকে বোকা বানিয়ে কৌশলে আদালতে ‘রিট’ আছে উল্লেখ করে কখনো কখনো পার পেয়ে যায় দখলদাররা। যদিওবা অনেক ‘রিট’ এর আদেশই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। আর এভাবেই অবৈধ দখলদাররা ৫/৬ বছর ধরে কোন কাগজপত্র ছাড়াই সেখানে দখল কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। গত ৫/৬ বছরে বিভিন্ন জনকে ওই জমি দেয়ার লোভ দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি। দোকান দেয়ার লোভ দেখিয়েও নেয়া হয় টাকা। সময়ের ব্যবধানে চক্রটিতে জড়িয়ে পড়ে নতুন নতুন সদস্য। প্রশাসনিক, আর্থিক ও স্থানীয় প্রভাবের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বর্তমানে প্রায় ২০ জনের একটি সিন্ডিকেট তৈরী করা হয়েছে। সিন্ডিকেটটিতে চুক্তি অনুযায়ী জমি ও দোকান বরাদ্দ দেয়ার শর্তে সিন্ডিকেট সদস্যরা কাজ চালাচ্ছেন। অনেকে দিচ্ছেন টাকা, কেউ স্থানীয় প্রভাব, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী পর্যায়ের কয়েকজন দিচ্ছেন প্রশাসনিক সুবিধা। রাজনৈতিক দলের নেতারা দলীয় প্রভাব কাজে লাগিয়ে প্রশাসন ও স্থানীয় পর্যায়ে ভূমিকা রাখছেন। আবার সংবাদ মাধ্যম ম্যানেজ করতে এক সাংবাদিককেও সিন্ডিকেটে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, যে কোন অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের নাম-ডাক রয়েছে। এসব দখল-বেদখল বিষয়ে তিনি কঠোর ভূমিকা পালন করেন। অনেক সময় রাজনৈতিক দলের নেতা সহ প্রভাবশালীদের তদবীরও তিনি ফিরিয়ে দেন। যার কারণে দখলদাররা অনেক সময় ভীত থাকেন। তারা বর্তমানে জেলা প্রশাসক মো.আলী হোসেন কক্সবাজারে না থাকার সুযোগে জমি দখলে নিয়ে ভরাট করে দোকান নির্মাণের কাজ দ্রুত করছেন বলেও জানা গেছে। জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন ১০ দিনের সফরে অষ্ট্রেলিয়া রয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।