বিশেষ প্রতিবেদক:
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানকে একটি মিথ্যা মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সদস্য পারভেজ আহামদ বাবুকে মিথ্যাভাবে আসামী করা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এই নিয়ে সবর্ত্র নিন্দার বয়ে যাচ্ছে। একই সাথে ছাত্রলীগের উর্ধ্বতন মহলসহ সরকারি দল আওয়ামী লীগ, যুবলীগের বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করছেন, একটি সাজানো মামলায় কিভাবে ছাত্রলীগের একজন জেলা সদস্যকে মিথ্যাভাবে আসামী করা হয়। এই প্রশ্নটি সবার মুখে মুখে ঘুরছে।
জানা গেছে, হোয়ানকের কেরুনতলীর দু’পরিবারের জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল করিমের লোকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। ঘেরের মিল ডাকাতির অভিযোগে মামলাটি হলেও এ ধরণের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তারপরও সম্পূর্ণ সাজানো ভাবে ৮ এপ্রিল একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে প্রতিপক্ষ। ওই মামলায় সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ইসহাক বিএ’র নাতি পারভেজ আহামদ বাবু ও তার বাবা শফিউল আলমকে আসামী করা হয়।
এ ব্যাপারে বাবু জানান, সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল করিম তার ভগ্নিপতি। এই কারণে প্রতিপক্ষ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বাবু ও তার বাবাকে আসামী করেছে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়ের সাখে বাবু

এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য পারভেজ আহামদ বাবু ও তার বাবাকে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আসামী করায় নিন্দা জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়। তিনি এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মামলা থেকে বাবু ও তার বাবাকে বাদ দেয়ার দাবি জানান। ক্ষোভ প্রকাশ আরো নিন্দা জানিয়েছেন হোয়ানক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর আলম জফুর, হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। তারাও জেলা ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ আহামদ বাবু ও তার বাবাকে হয়রানিমূলক মামলা থেকে বাদ দিতে জোর দাবি জানান। না হয় হোয়ানকের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
এ ব্যাপারে পারভেজ আহামদ বাবু বলেন, ‘আমাদের পরিবার মহেশখালীর আওয়ামী পরিবারগুলো মধ্যে অন্যতম একটি পরিবার। হোয়ানকে আমাদের পরিবারই আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। তাই ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আওয়ামী লেবাসধারী বিএনপি-জামায়াতের দোরসরা আমাদের হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলায় আমাকে ও আমার বাবাকে আসামী করেছে। এই বিচারটা আমি কার কাছে দেবো?’