শাহেদ মিজান, সিবিএন:
দেখতে দেখতে হারিয়ে গেছে আরেকটি বঙ্গাব্দ। এসেছে নূতন আরেকটি বঙ্গাব্দ। প্রকৃতিতেও সর্বত্র যেন লেগেছে নূতনের ছোঁয়া। উৎসব প্রিয় বাঙালীরা বর্ষের প্রথম দিনটিকে উৎসব-উল্লাসে ভরে তুলেছে চিরকালের রীতি ধরে। এই দিনে সত্যিই নূতনে ভরে যায় মানুষ-প্রকৃতি। বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবির আল মাহমুদ লিখেছেন, ‘ওই নূতনের কেতন উড়ে কালবৈশাখীর ঝড়ে’। হ্যাঁ তাইতো, এই বৈশাখে নেমে আসে কাল ঝড়। অর্থ্যাৎ কালবৈশাখী। কালবৈশাখী দুর্ধর্ষ হলেও আমাদের মাঝে নূতনের বার্তা দিয়ে যায় অনায়সে। এই বৈশাখ ধরে ১৪২৪ বঙ্গাব্দকে বরণ করতে কক্সবাজারের উৎসব কেন্দ্রিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার সিটি কলেজে বসেছিল বাংলার ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা। উৎসবে বছরের প্রথম দিন শুক্রবার সারাদিন নাচ-গান ও হৈ-হুল্লোড়ে মেতে কলেজ ক্যাম্পাস।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় উৎসব। কলেজ মাঠে আয়োজিত এই উৎসব শিক্ষার্থীদের পদভারে মুখরি হয়ে উঠে। সারা দিন আনন্দ-উল্লাসে ভরপুর হয় থাকে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। উৎসব উপলক্ষ্যে কলেজের উদ্যোগে আয়োজিত হয় বাঙালিয়ানা সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বাংলার আবহমান সংস্কৃতির নানা ধরণের জনপ্রিয় গান, কৌতুক, নাচ ও ঐতিহ্যবাহী লোক গান পরিবেশন করা হয়। সেই সাথে বাংলা সংস্কৃতির অঙ্গ ‘রুমাল চুরি’সহ নানা ধরণের খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। উৎসবকে ঘিরে মেলার আদলে বসে বেশ কিছু স্টল। কলেজের বিভিন্ন বিভাগের উদ্যোগের স্টলগুলো বসানো হয়। স্টলে দেশীয় নানা ধরণের পিঠা, সন্দেশ, নাড়–, খৈ, ফল, ফলের রসসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করা হয়। অন্যদিকে বসে নাগরদোলা। নাগরদোলায় চড়তে শিক্ষার্থীদের ভিড় জমাতে দেখা গেছে। একেক বিভাগের শিক্ষার্থীরা একেক রংয়ের পোশাক পরে উৎসবে অংশ নেয়। এটা অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর দেখা গেছে।
পুরো অনুষ্ঠান মালায় উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ ক্যথিং অং, কলেজের গভর্ণিং বড়ির সদস্য এড. ফরিদুল আলম, অধ্যাপক আকতার চৌধুরী, অধ্যাপক মঈনুল হাসান পলাশসহ কলেজের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, প্রভাষকেরা। উৎসবে শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিপুল দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।