মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও
ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২ দিন ব্যাপী বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলার ১ম দিন অতিবাহিত মহা হয়েছে। এতে মেলা প্রাঙ্গন লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। মাঠের শহীদ মিনারে স্থাপিত মেলা মঞ্চে স্থানীয় ও বহিরাগত শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পর্ব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ। প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জান্নাতের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সাংবাদিক, ছাত্র সংগঠকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন অংশ নেন। অনুষ্ঠানে দিনভর রবীন্দ্র, নজরুল, দেশাত্ববোধক ও বৈশাখী গান পরিবেশন করা হয়। এছাড়া একক, দলীয় নৃত্যসহ চোখ ধাঁধানো ও নজরকাঁড়া পরিবেশনা ছিল। সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ ইবরাহীম ও মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মোখতার আহমদ, সিনিয়র শিক্ষক মো. সিরাজুল হক, নুরুল কবির, আবদুল মজিদ খান, মো. রেজাউল করিম, পূর্ণাম পাল, তারিকুল হাসান তারিক, শফিক আহমদ, জাফর আলম, আবদুচ ছালাম হেলালী, মো. আবু তাহের, মোহাম্মদ আলম, শেখর কান্তি দে, সালমিরা সুলতানা সোমা, আনিসুর রহমান, কামাল উদ্দীন প্রমুখ। অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত হন জালালাবাদের মেম্বার মোক্তার আহমদ, রাজনীতিবিদ মোক্তার আহমদ, যুবলীগ নেতা মিজানুল হক মিজান, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাশেদ উদ্দীন রাসেল, সাধারণ সম্পাদক আবুহেনা বিশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল করিম।
অনুষ্ঠানে সংগীতের তালে বংশী বাজান কক্সবাজার বেতারের খ্যাতনামা বংশী বাদক রেজাউল করিম। বহিরাগত শিল্পীদের মধ্যে গান পরিবেশন করে ভারুয়াখালীর সংগীত শিল্পী নুর মোহাম্মদ। এছাড়া চকরিয়া থেকে আসেন তবলা বাদক। পুরো অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সংগীত শিক্ষক রীমা পালের নেতৃত্বে বহিরাগত কন্ঠশিল্পী রুমকা পালসহ বিদ্যালয়ের নৃত্যশিল্পী, কন্ঠ শিল্পী ও সংগীত শিল্পীরা বিভিন্ন পারফরমেন্সে অংশ নেয়। উৎসবে সকাল থেকেই উৎসাহী প্রচুর দর্শক সমাগম ঘটতে থাকে। যতই দিন গড়াতে থাকে ততই দর্শকের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বিকেল নাগাদ মেলা মাঠ দর্শক ও দর্শনার্থীতে ভরে যায়। এ উপলক্ষ্যে ৩টি নাগর দোলা স্থাপন করা হয় মাঠের পূর্ব প্রান্তে। আরো ছিল মোটর সাইকেল খেলা প্রদর্শনী। এ প্রদর্শনী এবং নাগরদোলায় যেন লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ে। মাঠের চতুপাশের্^ বসানো হয়েছে ১৭টি স্টল। এসব স্টলে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য যেমন নুডলস, কোল্ড ড্রিঙ্কস, ডাব, অন্যান্য খাবার, গ্রামীণ পণ্য, স্টিলের তৈজসপত্র ইত্যাদির সমাহার ছিল। এতে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়ে মেলাকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিবৃন্দ বৈশাখী রেস্টুরেন্ট এন্ড কুলিং কর্ণারসহ বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।