অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশের ভুয়া একাউন্ট বন্ধে কাজ শুরু করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বলা হচ্ছে বাংলাদেশে ৩০ লাখের মতো ভুয়া একাউন্ট রয়েছে। গত কয়েকদিন অনেকের ফেসবুক একাউন্ট ভেরিফাই করতে বলা হচ্ছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্যও চাচ্ছে ফেসবুক। কয়েকদিন আগে গত ৩০ মার্চ সিঙ্গাপুর ও ২৩ মার্চ লন্ডনে ফেসবুকের সঙ্গে বৈঠক করেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সেখানে তিনি ভুয়া একাউন্ট বন্ধে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন ওই অনুরোধের পরই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
দেশে ফিরে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দেশের সকল এমপির ফেসবুক পেজ ভেরিফাইড হবে। পাশাপাশি এমপিদের নামে খোলা ভুয়া একাউন্টগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) নামে খোলা ভুয়া পেইজের পাশাপাশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে। এর আগে বাংলাদেশের অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী শনিবার সকালে হঠাত্ অ্যাকাউন্ট বন্ধ পান এবং তা সচল করতে গিয়ে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হয়।
এই প্রেক্ষাপটে তারানা হালিম জানান, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়েই বাংলাদেশের ভুয়া পেইজ ও অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ফেসবুক। তিনি বলেন, আমাদের পাওয়া বিভিন্ন ফেইক আইডিগুলো আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি, ওগুলো বন্ধের কাজ চলছে। তারা (ফেসবুক) নিজ উদ্যোগেও কিছু করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যেগুলো পাঠিয়েছি সেগুলো শুধু ভিআইপিদের।’ ওই তালিকায় থাকা আইডির সংখ্যা নির্দিষ্ট করে না বললেও তা ‘অনেক’ বলে জানান তারানা হালিম। তারপরও আমরা বলেছি অন্য ফেইক আইডিগুলোও দেখতে হবে।
দেশের ভিআইপি ও সংসদ সদস্যদের নামে খোলা ভুয়া ‘ফেসবুক পেইজগুলো’ শিগগিরই বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে গত ১০ এপ্রিল সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী। সংসদ সদস্য ও ভিআইপিদের পেইজগুলো ‘ভেরিফায়েড’ হয়ে গেলে তাদের নামে থাকা অন্য পেইজগুলো ‘ভুয়া হিসেবে’ চিহ্নিত হবে বলে সে সময় জানান তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।