প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
গ্রীক দেবীমূর্তি স্থাপন পবিত্র ইসলাম, আমাদের সাংস্কৃতি, সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। অনতিবিলম্বে সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে উক্ত দেবীমূর্তি সরানোর জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম। অন্যথায় সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে ঈমানী ও নৈতিক অধিকার আদায় করা হবে ইনশাল্লাহ। দেশ মহা সংকটে পড়তে পারে।
শীর্ষ ইসলামী নেতৃব্ন্দৃ বলেন : মূর্তি স্থাপন, মূর্তি পূজা ও মূর্তি সংরক্ষণ ইসলামে চিতরে হারাম ও জঘন্যতম শিরক। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন- “তোমরা মূর্তি থেকে পরিপূর্ণরূপে দূরে থাকো। সূরা হাজ্ব : ৩০অন্য আয়াতে বলা হয়েছে- “নিশ্চয় আল্লাহ তা’য়ালা মূর্তিপূজা ও শিরক কখনো ক্ষমা করবেন না। সূরা নেছা : ৪৮। আল্লাহ তা’য়ালা যুগে যুগে নবী রাসূল প্রেরণ করেছেন মুর্তি ভাঙ্গার জন্য। অথচ ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশের সর্বোচ্চ আদালতের সামনে মুর্তি স্থাপন করে ইসলামের দুশমনরা সরকার, দেশের বিচারব্যবস্থা ও ইসলাম প্রিয় জনতাকে মুখোমুখী দাঁড় করাতে চায়। উক্ত অশুভ শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অজান্তে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে গ্রীক দেবীমূর্তি স্থাপন করেছে কিনা তা তদন্ত হওয়া জরুরী।
উল্লেখ্য যে, গ্রীকদেবী মূর্তি স্থাপন পবিত্র ইসলাম ও আমাদের সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক তো বটেই বরং দেশের সংবিধানের ২ (ক), ১২ ও ২৩ অনুচ্ছেদের সম্পূর্ণ বিরোধী। ১৯৪৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠার হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোর্ট প্রাঙ্গনে দেবী মূর্তি স্থাপন করা ধৃষ্টতা কেউ দেখাইনি।
শীর্ষ উলামা কেরাম বলেন- আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের কাছে জোর অনুরোধ করছি, অনতিবিলম্বে সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রীক মূর্তি সরিয়ে ফেলুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগোচরে যারা সর্বোচ্চ আদালতের সামনে ভিন দেশীয় মূর্তি বসিয়েছে তাদের খুঁটির জোর কোথায়? তা খুঁজে বের করা দরকার। দেশকে নিয়ে চক্রান্তকারীদের ষড়যন্ত্র থেকে সতর্ক হতে না পারলে ঘাপটি মেরে থাকা কুচক্রি মহল ইসলাম, ইসলামী মূল্যবোধ ও দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের মহাসর্বনাশ করে ছাড়বে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- শাইখ মাওলানা আবদুল মোমিন, মাওঃ মোহাম্মাদ ইসহাক, হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হজুর, মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, শাহতলীর পীর মাওঃ আবুল বাসার,ফরায়েজী আন্দোলনের আমীর মাওলানা আব্দুল্লাহ মোঃ হাসান, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমীর মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব মাওঃ শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দীকি, মীরের সরাইর পীর সাহেব মাওঃ আঃ মোমেন নাছেরী, টেকের হাটের পীর সাহেব মাওঃ কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী, মুফতি মাওলনা আবদুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আজিজুর রহমান আজিজ, মাওঃ সালেহ সিদ্দীকি, মাওঃ হাফেজ আবুল হোসাইন, মুফতি মাওঃ নাসির উদ্দীন খান, শাহ এমদাদুল্লাহ পীর সাহেব, শাহ ওয়ালিউল্লাহ পীর সাহেব গাছতলা, হক্কানী ত্বরীকত মিশনের আমির আধ্যাত্মিক গুরু শাইখ নুরুল হুদা ফয়েজী, হক্কানী ত্বরীকত মিশনের জেনারেল সেক্রেটারী আল্লামা মুস্তাক ফয়েজী, ইসলামী ঐক্য মঞ্চ সভাপতি মাওলানা ইদ্রিস হোসাইন, সেক্রেটারী আবদুস সাত্তার, খাদেমুল ইসলাম জামাত আমির মাওলানা মুহিবুল্লাহ, সেক্রেটারী মাওঃ সারওয়ার হোসাইন, জাতীয় মুফাসসিরিন পরিষদ সভাপতি মাওলানা বেলাল হোসাইন ও সেক্রেটারী মাওলানা নুরুল আমীন, জাতীয় ইমাম উলামা পরিষদের সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা ফজলুর রহমান ও মহাসচিব মাওলানা এবি.এম শফিকুল্লাহ, মাদরাসা মসজিদ ও খানকা ঐক্যপরিষদ সভাপতি মাওলানা রফিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা গোলাম কিবরিয়া, ইসলামী সমাজ সভাপতি মাওলানা রফিকুর রহমান আল কাশেমী ও সেক্রেটারী জেনারেল মুফতি জাকারিয়া, ইসলামের জনতা সভাপতি মুফতি আবদুল কুদ্দুস ও মহাসচিব হাফেজ আবুল কাসেম, ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি শাইখ যাইনুল আবেদীন ও সেক্রেটারী মাওলানা আবদুর রহমান, তালিমুল কুরআন সোসাইটি মুফতি আবদুল হালিম, মহাসচিব মাওলানা সিজরাজুল ইসলাম, আল কুরআন ফাউন্ডেশন সভাপতি মুফতি জামাল উদ্দীন ও সেক্রেটারী মুফতি ইসহাক, জমিয়াতে উলামা দেওবন্দ পরিষদের সভাপতি হযরত মাওলানা মুহাদ্দেস আবদুল্লাহ কাসেমী ও সেক্রেটারী হযরত মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক কাসেমী জাতীয় খতীব পরিষদের আমীর মুফতি মাওলানা মাউদুর রহমান, হুফ্ফাজ পরিষদ সভাপিত হাফেজ লেয়াকত হোসাইন ও সেক্রেটারী মুফতি মাহবুবুর রহমান, ইসলামী অন লাইন এ্যাক্টিভিটস সভাপতি শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুস সামাদ ও মহাসচিব মুফতি আবু আনাস, সম্মিলিত ইসলামিক জোটের আমির মাওলানা আবদুল বাকি, সেক্রেটারী জেনারেল মাওঃ মনিরুজ্জামান, জাতীয় ইমাম সোসাইটির মহাসচিব মুফতি জোবায়ের আহমদ কাসেমী, প্রফেসর মাওঃ মুফতি ইসহাক মাদানী, হাফেজ মুফতি মাওঃ আব্দুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ ইখলাস উদ্দিন, মাওঃ আবু হানিফ নেছারী, অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান, হাফেজ ফারুক হোসাইন, মাওঃ এহতেশামুল হক, নাস্তিক-মুরতাদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাওঃ আব্দুল ক্দ্দুুস আল কাসেমী ও মহাসচিব শাইখ আব্দুল কাউয়ূম, জাতীয় তাফসীর পরিষদ সভাপতি মাওঃ আব্দুল আখির ও মহাসচিব মাওঃ আবু দাউদ যাকারিয়া, ইসলাহুল মুসলিলিমিন সভাপতি মুফতি আবুল বাশার ও মহাসচিব মুহাদ্দিস হাসানুল ইমাম প্রমুখ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।