জাগোনিউজ :
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত ‘ন্যায়বিচারের প্রতীক গ্রিক ভাস্কর্য জাস্টিসিয়া’ অন্য জায়গায় পুনঃস্থাপন কিংবা ঈদগাহ মাঠ থেকে নামাজরত অবস্থায় যেন তা চোখে না পড়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে একান্তে কথা হয়েছে। বিষয়টি দ্রুত বিবেচনার জন্য প্রধান বিচারপতিকে বলা হয়েছে।’
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক অনির্ধারিত আলোচনায় এমন মত দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু ভাস্কর্যের বিষয়টি উত্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘শনিবার জাজেস কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করতে গিয়ে আপনি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের ভাস্কর্যটি সরাতে বলেছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’
এ সময় আরও কয়েকজন মন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর কথায় সায় দেন। একপর্যায়ে এ বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এ ধরনের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। ন্যায়বিচারের প্রতীক গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য বানালেও সেটিকে আবার শাড়ি পরানো হয়েছে।’
গ্রিক দেবী কি শাড়ি পরতো নাকি- এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভাস্কর্যটি এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়া অবস্থায় চোখে পড়ে। এটি আসলেই দর্শনীয় কোনো ভাস্কর্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি গত শনিবার জাজেস কমপ্লেক্স উদ্বোধনের পর প্রধান বিচারপতির সঙ্গে এ বিষয়ে একান্তে কথা বলেছি। তাকে জানিয়েছি, ভাস্কর্যটি দর্শনীয় হয়নি। এটি নিয়ে বিতর্কও আছে। হয় এটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে ফেলুন অথবা এমনভাবে রিপ্লেস (স্থানান্তর) করুন বা ঢেকে দিন যাতে ভাস্কর্যটি জাতীয় ঈদগাহ থেকে দেখা না যায়।’
‘প্রধান বিচারপতি বিষয়টি দেখবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন’- যোগ করেন শেখ হাসিনা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।