প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের সাবেক কেন্দ্রীয় সংগঠন সচিব, কওমী সনদ আন্দোলনের বীর সেনানী মাওলানা আ.হ.ম. নুরুল কবির হিলালী বলেছেন, কওমী মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতি আমাদের ন্যায্য অধিকার; কারো করুণা নয়। সুদীর্ঘ সময়ের ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল এ স্বীকৃতি। নেজামে ইসলাম পার্টির অবিসংবাদিত নেতা খতীব আযম আল্লামা ছিদ্দিক আহমদ (রহ.) ১৯৭৯ সালে সর্বপ্রথম কওমী সনদের সরকারী স্বীকৃতির দাবী সরকারের নিকট পেশ করেন। সেই দাবী বাস্তবায়নের জন্য ঐতিহ্যবাহী ইসলামী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ ১৯৮৪সালে “কওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদীসের সনদকে এম.এ.এর সমমর্যাদা প্রদানের সংগ্রামকে জোরদার করুন”- শিরোনামে চার পৃষ্ঠার একটি লিফলেট প্রকাশের মাধ্যমে সর্বপ্রথম আন্দোলনের সূচনা করে। এভাবে ৩০-৩৫ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলশ্র“তিতে কওমী প্রজন্মের সেই প্রাণের দাবী আজ বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এ নিয়ে বাতিল অপশক্তির গা জালা শুরু হয়েগেছে। কওমী সনদের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে বাতিলের কোন চক্রান্তই ধর্মপ্রাণ জনতা সহ্য করবে না।

তিনি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ ঝিলংজা ইউনিয়ন শাখার কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ১৯ এপ্রিল, বুধবার সকাল ৮টায় অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন, সংগঠনের জেলা সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর। তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্রসমাজ নেতাকর্মীদেরকে দ্বীনি জ্ঞান চর্চায় অধিকতর মনোনিবেশ করে বাতিল অপশক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সংগঠনের ঝিলংজা ইউনিয়ন শাখা পুনর্গঠন করা হয়। এতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন, আহ্বায়ক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাইফুর রহমান, সদস্য সচিব মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ, সদস্য মুহাম্মদ আলিম উদ্দিন, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ জিহাদ, মুহাম্মদ আবছার, মুহাম্মদ খোরশেদুল হক, মুহাম্মদ আলমগীর, মুহাম্মদ আনিসুর রহমান, মুহাম্মদ জাহেদ, মুহাম্মদ আরিফুল হক, মুহাম্মদ তারেক প্রমূখ। জেলা সভাপতি নব মনোনীত দায়িত্বশীলদের শপথবাক্য পাঠ করান।