প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

১৯ এপ্রিল স্থপতি, প্রকৌশলী ও পরিকল্পনাবিদদের সাথে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাস্টার প্ল্যান নিয়ে এক সফল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমদ, এলডিএমসি, পিএসসি।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি ঢাল তলোয়ার ছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানকে প্রতিষ্ঠিত করার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় আস্থা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মহোদয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়ের আন্তরিক সহযোগিতায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আজকের এই পর্যায়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি উপস্থিত ইঞ্জিনিয়ার এবং কক্সবাজারের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও জনসাধারণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তাদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য।

তিনি উপস্থিত ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বিধিমালা ও মাস্টার প্ল্যানের আলোকে ইমারত নকশা প্রণয়নের জন্য আহ্বান জানান।

সভায় বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট প্ল্যানার্স চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার এর চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম সাউদার্ণ বিশ^বিদ্যালয়ে পৌ-ভিসি প্রকৌশলী ও পরিকল্পনাবিদ এম. আলী আশরাফ, পিইঞ্জ মাস্টার প্ল্যানের বিভিন্ন কম্পোন্যান্ট (ট্রান্সপোর্টেশন, ড্রেনেজ, স্যুয়ারেজ) সহ বিভিন্ন বিষয়ে তার সুদীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে বিষদ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, কক্সবাজারে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের সম্ভাবনা এবং এটাকে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন পর্যটন নগরী করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এ কারণে বর্তমান সরকার যোগ্য ব্যক্তির হাতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বভার অর্পন করেছেন। সাথে উপস্থিত ইঞ্জিনিয়ারদের যাবতীয় ভবনের নকশা প্রণয়নের বিষয়ে অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত প্রেজেন্টেশনের আলোকে স্থপতি ও প্রকৌশলীদের সচেষ্ট ও আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দেন।

ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্মানিত চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সাদেক মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, মাস্টার প্ল্যান যেকোন শহরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মাস্টার প্ল্যানকে অনুকরণ করে আমাদের মাস্টার প্ল্যান করলে সেটা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কম থাকে। সেক্ষেত্রে দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাস্টার প্ল্যান ও বিধিমালা প্রণয়ন করা সমীচিন।

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট এর সম্মানীত চেয়ারম্যান স্থপতি নাজমুল লতিফ সোহাইল বলেন, ভবন নির্মাণের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের নিয়ম বহির্ভূত কাজের জন্য কনসালট্যন্ট, কনষ্ট্রাকশন এবং ক্লায়েন্ট (৩ঈ) সরাসরি সমান ও আইনগতভাবে দায়ী। তাই আমরা স্থপতি ও প্রকৌশলীদের এই আইনটি অনুসরণ করে সতর্কতার সাথে কাজ করার পরামর্শ দেন।

উক্ত সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল) লে: কর্ণেল মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম। আরো বক্তব্য রাখেন কর্তৃপক্ষের সচিব মো: আব্দুস সোবহান,
জিপিএইচ এর নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মাদাী এম ইমতিয়াজ হোসাইন কর্তৃপক্ষের আজকের এই বর্ণাঢ়্য অনুষ্ঠানের সহযোগী হিসেবে থাকতে পেরে গর্বিত বোধ করেন এবং কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাথে ভবিষ্যতেও সম্পৃক্ত থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রদর্শনের মাধ্যমে কক্সবাজারের মাস্টার প্ল্যান ও ইমারত নির্মাণ বিষয়ে বিস্তারিত দিক নির্দেশনা প্রদান করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সরোয়ার উদ্দিন আহমদ এবং উপস্থিতবৃন্দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, ডা. সাইফুদ্দিন ফরাজি, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রদীপ্ত খিসাসহ কক্সবাজারের সকল স্তরের প্রকৌশলীবৃন্দ।