ডেস্ক নিউজ:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বর্তমান সংখ্যা চার লাখ তিন হাজারের কিছু বেশি বলে এক শুনানিতে জাতিসংঘকে জানিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচআইসির ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অন দ্য প্রটেকশন অব দ্য রাইটস অব অল মায়েগ্রেন্ট ওয়ার্কাস অ্যান্ড মেম্বারস অব দেয়ার ফ্যামিলিস (আইসিআরএমডব্লিউ) শুনানিতে রোহিঙ্গা সম্পর্কে হালনাগাদ এ তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।
ইউএনএইচআইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বাংলাদেশের বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। শুনানিতে বাংলাদেশ জানায়, ১৯৭৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মানবিক কারণে দুই লাখ ৫০ হাজার ৮৭৭ জন রোহিঙ্গাকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ।
পরে দু’দেশের মধ্যে ১৯৯১ সালে চুক্তির আওতায় যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৯ জনকে ফেরত নেয় মিয়ানমার। কিন্তু ২০০৫ সালে হঠাৎ করেই এ প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় তারা। কক্সবাজারের দুটি শরণার্থী শিবিরে ৩৩ হাজারের মতো নিবন্ধিত রোহিঙ্গা রয়েছে।
মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত না নিলেও ২০০৫ সালের পর থেকে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ-মিয়ানমার স্থল ও সমুদ্র সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর ২০১৬ সালের অক্টোবরে রাখাইনে সেনা অভিযান শুরু হলে অারও প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অাশ্রয় নেয়।
চলতি মাসের ৩ থেকে ৪ এপ্রিল সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অাইসিঅারএমডব্লিউর প্রাথমিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বাংলাদেশ। শুনানিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুুরুল ইসলাম বিএসসি ১১ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশ ২০১১ সালে আইসিআরএমডিব্লউ-১৯৯০ এর কনভেনশন অনুসমর্থন করে। কনভেনশন ও আর্টিকেল ৭৩ অনুযায়ী রাষ্ট্রসমূহের অভিবাসী কর্মীদের জন্য গৃহীত আইনগত, বিচারিক, প্রশাসনিক ও অন্যান্য ব্যবস্থার উপর আর্টিকেল ৭২ এর আওতায় গঠিত কমিটি অন মায়েগ্রেন্ট ওয়ার্কাসের (সিএমডাবলু) কাছে প্রতিবেদন দাখিল করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।