ডেস্ক নিউজ:
৬৫ বছর বয়সে এসে ৩০ লাখ টাকা দেনমোহরে জাতীয় পার্টির চেয়রম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাগ্নি টুম্পার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন দলের সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। শুক্রবার সকালে এরশাদের গুলশানের প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। বিয়েতে স্ত্রীকে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের একটি বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়েছেন জিয়াউদ্দিন বাবলু।
রাতে রাজধানীর একটি বিলাসবহুল রেস্টুরেন্টে হবে বিয়ের রিসেপশন। যাতে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং এরশাদের ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্তজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় এরশাদ ছাড়াও তার ভাই জিএম কাদের, জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ্র রায়সহ বেশ কয়েকজন, এরশাদের বোন ও বাবলুর শাশুড়ি মেরিনা ইয়াসমিন এমপি, জিয়াউদ্দি বাবলুর ছেলে ও ছেলের বউসহ অন্যান্য আত্মীয় এবং পারিবারিক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ে উপলক্ষে স্ত্রীকে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের একটি বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়েছেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। এরশাদের বাসায় বিয়ের অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় খুব অল্প সময়ে। কাবিনের অনুষ্ঠান শেষে বর-কনের জন্য দোয়া করেন সবাই। কাবিন অনুষ্ঠানে এরশাদের স্ত্রী এবং বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ যাননি।

জিয়াউদ্দিন বাবলু দশম জাতীয় সংসদে জাপার দলীয় সংসদ সদস্য। তার শাশুড়ি মেরিনা ইয়াসমিন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য। মামা শ্বশুর এরশাদও এ সংসদের সদস্য। আর মামি শাশুড়ি রওশন এরশাদ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা।
জিয়াউদ্দিন বাবলুর স্ত্রী ফরিদা সরকার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে মারা যান। ফরিদা নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। বাবলুর হবু স্ত্রী মেহেজেবুননেছা রহমানও অধ্যাপক। তিনি সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর। প্রথম সংসারে তার এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
স্ত্রী ফরিদা সরকারের মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে আশিক আহমেদকে নিয়ে আছেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। ছেলে এমবিএ শেষ করে ব্যবসা করছেন। তিনিও বিয়ে করেছেন।