আবদুর রাজ্জাক,কক্সবাজার :

কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ‘এক সিঙ্গাপুর’ হিসেবে গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে নেওয়া ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী’ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটির উদ্বোধন করবেন। প্রকল্পটির কাজের মধ্যে রয়েছে পুরো দ্বীপ এলাকায় দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ। আধুনিক প্রযুক্তি সুবিধা ব্যবহার করে সেখানকার শিক্ষা,স্বাস্থ্য,কর্মসংস্থান এবং নিরাপত্তাকে সমৃদ্ধ করা এবং ই-গভর্ন্যান্সসহ অন্যান্য সুবিধা। দ্বীপটিকে ঘিরে অনেক আগেই স্বাধীনতার স্ব-পক্ষের দল বাংণাদেশ আওয়ামীলীগের বঙ্গবন্দুর তনয়া প্রধাণমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তার অভিপ্রায়ের কথা জানান বলে বলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।এর আগে গত বছরের নভেম্বরে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান ’ নামের এক কর্মশালায় মহেশখালী নিয়ে নানাবিধ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক । প্রকল্পটি নেওয়া হলে সেটা প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধনের কথাও জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক । র্দীঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটির শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী’ প্রকল্পটি নিয়ে কোরিয়ান সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটা চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। যেখানে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কোরিয়া কিছু অর্থ সহায়তা দেবে আর তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সেখানে কিছু রিসোর্স শেয়ার করবে।

উল্খ্যে,গত ২০ এপ্রিল বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী প্রধাণমন্ত্রী . ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী’ ঘোষনার প্রস্তুতি সরজমিনে পরিদর্শনে মহেশখালী সফর করেন।

অবহেলিত মহেশখালীকে বিশ্বের একটা আধুনিক নাগরিক সমৃদ্ধ দ্বীপ হিসেবে গড়ে ত্লোার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার এই যুগন্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় কক্সবাজার জেলাসহ সমগ্র মহেশখালী উপজেলার জনসাধারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং প্রধাণমন্ত্রীর র্দীঘায়ু কামনা করেন। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রাজধানী ঢাকায় বসে একজন নাগরিক যেভাবে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল সেবা পায় ঠিক তেমনই মহেশখালীবাসীও ঘরে বসেই তেমন ডিজিটাল সেবা পাবে।