নিউজ ডেস্ক
বিশ্বে স্বাধীন গণমাধ্যম সূচকে এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬তম। আগের বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৪তম। ফলে এবার দুই ধাপ পেছাল বাংলাদেশ। এবারের সূচকে বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ৪৮.৩৬, যা গত বছর ছিল ৪৫.৯৪। সূচকে ভারত এবার তিন ধাপ পিছিয়ে ১৩৬তমে অবস্থান করছে। তবে গণমাধ্যম স্বাধীনতায় এগিয়ে পাকিস্তান। দেশটি ৮ ধাপ এগিয়ে ১৩৯তমে অবস্থান করছে।
১৮০টি দেশের গণমাধ্যম পর্যালোচনা করে বুধবার এ সূচক প্রকাশ করে বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস। সংস্থাটি বলছে, রাশিয়া, চীন, ভারতসহ প্রায় ৭২টি দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অত্যন্ত নাজুক।
এবার যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের গণমাধ্যম পরিস্থিতিও অবনতি হয়েছে, যা বাংলাদেশের মতোই। উভয় দেশই দুই ধাপ পিছিয়েছে। ৪৩তমে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র আর ব্রিটেনের অবস্থান ৪০তম।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সবচেয়ে বেশি খর্ব হয়েছে।
সূচকে প্রথম ৫ দেশ
বিশ্বে স্বাধীন গণমাধ্যমের এই সূচকে প্রথম তথা সবার ওপর রয়েছে নরওয়ে। দুই ধাপ এগিয়ে টানা ছয় বছর ধরে প্রথম স্থানে থাকা ফিনল্যান্ডকে পেছনে ফেলেছে নরওয়ে। এবার ফিনল্যান্ডের অবস্থান তিনে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সুইডেন। চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে যথাক্রমে ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস।
সূচকে সর্বনিম্ন অবস্থানের ৫ দেশ
১৮০টি দেশের মধ্যে সূচকে সবচেয়ে নিন্ম অবস্থানে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার ওপর রয়েছে যথাক্রমে ইরিত্রিয়া, তুর্কমেনিস্তান, সিরিয়া ও চীন।
সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ
ভুটান ৮৮, নেপাল ১০০, মালদ্বীপ ১১৭, আফগানিস্তান ১২০, ভারত ১৩৬, পাকিস্তান ১৩৯, শ্রীলঙ্কা ১৪১ এবং বাংলাদেশ ১৪৬তম।
সূচক নাকচ করেছে ২ দেশ
পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের এই সূচক নাকচ করেছে। সূচকে দেশ দুটির অবস্থান যথাক্রমে ৫৪ ও ৭১তম।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।