ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভুঁইয়া কাঞ্চন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনগুলো পর্যটন ক্ষেত্রে এখনও অনাবিষ্কৃত। প্রত্নতত্ত্ব পর্যটনের বিকাশের জন্য আগে সঠিক তথ্য ও গবেষণা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করতে হবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে। তারা সম্পৃক্ত হলে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে অনেকাংশে।’
প্রত্নতত্ত্ব নির্দশন বিশ্বজুড়ে তুলে ধরা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা প্রয়োজন বলে মনে করেন ট্যুর অপারেটর জার্নপ্লাসের প্রধান নির্বাহী তৌফিক রহমান। তিনি একই সঙ্গে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। জার্নপ্লাসের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য থেকে বছরে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক প্রত্নতত্ত্ব নির্দশন দেখতে বাংলাদেশে আসেন বলেন জানা যায়।টোয়াব পরিচালক বলেন, ‘প্রত্নতত্ত্ব নির্দশনের স্থানগুলোতে পর্যটকদের উপযোগী আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আন্তর্জাতিক সভা সেমিনারের মাধ্যমে সরকারি উদ্যোগে দেশের প্রত্নতত্ত্ব তুলে ধরা জরুরি। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি বাড়লে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। প্রত্নতত্ত্ব নির্দশনগুলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং পর্যটন বিষয়ক পৃথক আরেকটি মন্ত্রণালয় করে দুটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. নাসির উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের যেসব প্রত্নতত্ত্ব নির্দশন রয়েছে সেগুলো আমাদের পর্যটনের অন্যতম উপাদান। প্রত্নতত্ত্ব নির্দশনগুলোর মধ্যে প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। ২০১৫ সালে ঢাকায় আন্তর্জাতিক বুদ্ধিস্ট কনফারেন্স আয়োজন করা হয়। ওই সম্মেলনের মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ব নির্দশনগুলো তুলে ধরা হয়। এর ফলে এখন আগের চেয়ে অনেক বিদেশি বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব দেখতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।তাই বেড়েছে বিদেশি পর্যটক।’
ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রী ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করে যৌথ পরিকল্পনা সাজিয়েছি। এর অংশ হিসেবে প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয়াদি ভবিষ্যতে পর্যটন খাতে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’