বিশেষ প্রতিবেদক:

মহেশখালী-কুতুবদিয়া সংসদীয় আসনে সম্প্রতি বিভিন্ন সভা-সেমিনার, দলীয় নেতাকর্মীদের আমন্ত্রনে দলীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে উক্ত সংসদীয় স্থানে রীতিমত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি ওসমান গণি। দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চল ধলঘাটার সন্তান হলেও সমান তালে গণসংযোগ চালিয়ে সাধারণ মানুষের জনপ্রিয়তা অর্জন করে যাচ্ছেন সমগ্র মহেশখালী-কুতুবদিয়া। কুতুবদিয়ার উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ প্রান্ত, মহেশখালীর পৌর এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন তথা উপদ্বীপ টুঙ্গিপাড়া খ্যাত আওয়ামীলীগের উর্বর ভূমি মাতারবাড়ীর বিভিন্ন প্রান্তে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুশলাদি বিনিময়ে। ইউনিয়ন তথা ওয়ার্ড পর্যায়ে ও চালাচ্ছেন ব্যাপক গণসংযোগ। যে ওয়ার্ডে যাচ্ছেন সেখানেই নামছে জনতার ঢল। দলীয় নেতাকর্মীর মিলন মেলায় অংশ নিচ্ছেন আমজনতা। মিশে যাচ্ছেন জনতার ঢলে। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার মূখে সরব আলোচনা হচ্ছে ওসমান গণিকে নিয়ে।


হঠাৎ করে তার পিছনে জনতার ঢলের রহস্য অনুসন্ধানে জানা যায়- প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের সাথে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে বিপদাপদে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া, রাজনীতির মূল প্ল্যাট ফরমে অতীতে না থেকেও নিজ ইউনিয়ন উপদ্বীপ ধলঘাটাকে বিদ্যুতায়নে ভূমিকা রাখা, ধলঘাটা মাতারবাড়ী বাসির আবেগের জায়গায় তিনি ছিলেন সরব, সোচ্ছার। কিছুদিন পূর্বে ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রোয়ানোর আঘাতে উপদ্বীপ ধলঘাটা, মাতারবাড়ী দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া যখন বিধ্বস্ত, লন্ডভন্ড হয়ে যায় তাক্ষণিক তিনি ধলঘাটা-মাতারবাড়ীর নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলন করে রোয়ানোর তান্ডবে লন্ডভন্ড ধলঘাটা-মাতারবাড়ী ও কুতুবদিয়া উপজেলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের দূর্ভোগ লাগাবে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করেন। যা পর দিন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে ফলাও করে প্রচারিত হয়। তারই ফলশ্রুতিতে ও তার ব্যক্তিগত তদবীরে ত্রাণ, দূর্যোগ ও পূর্ণবাসন বিষয়ক মাননীয় মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া দ্রুত বিধ্বস্ত, লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া ধলঘাটা-মাতারবাড়ী সফর করেন। সফর কালে তিনি সার্বক্ষণিক মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে থেকে বিধ্বস্ত ধলঘাটা-মাতারবাড়ী বাসির জন্য ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা চালান এবং ধলঘাটার বিধ্বস্ত বেড়ীবাধ নির্মাণে মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে জোর আবেদন জানান। মন্ত্রী মহোদয় ঢাকায় ফিরে দ্রুত বেড়ীবাধ নির্মাণে সহযোগীতা করেন এবং মন্ত্রী মহোদয়কে কুতুবদিয়ার সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরে সাথে সাথে কুতুবদিয়া বাসীর জন্য ত্রাণের ব্যাবস্থা করেন। তার ব্যক্তিগত তৎপরতা ও সাংবাদিক সম্মেলনের জের হিসেবে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা দীর্ঘদিন ধলঘাটা মাতারবাড়ী বাসিকে ত্রাণ সহয়তা দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। এই ব্যাপারে ধলঘাটা ইউনিয়নের ১নং আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, রোয়ানোর আঘাতে আমরা যখন জর্জরিত, দিশেহারা তখন উনি তাৎক্ষনিক আমাদের ব্যক্তিগত ভাবে সহযোগীতা করেছেন এবং সার্বিকভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত খবরা-খবর রেখেছেন।
উপজেলা যুবলীগ নেতা ও ধলঘাটার ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নবীর হোসেন জানান, রোয়ানোর মত বড় প্রাকৃতিক বির্পযয়ে উনি পাশে না থাকলে আমাদের আজ কঠিন অবস্থায় দিন যাপন করতে হত। উনি ধলঘাটার বেড়ীবাধ নির্মাণে তদবীর সহ বিধ্বস্ত ধলঘাটাবাসীর জন্য অনেক সংস্থাকে দিয়ে তাৎক্ষণিক ত্রাণ বিতরণ করান। এলাকার শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের চাকুরীর ক্ষেত্রে নির্লোভ সহয়তা প্রদান সর্বোপরি তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের আইনী সহয়তা প্রদান , মহেশখালী কুতুবদিয়া সংসদীয় আসনের তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে চিকিৎসা সেবায় সহযোগীতা প্রদান করে আসছেন তিনি।

সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার সাথে ওসমান গণি।

এই ব্যাপারে মাতার বাড়ী ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বদর উদ্দীন জানান, মাতারবাড়ীতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন, এলাকার দু:স্থ, অসহায় মানুষদের নির্বিচারে যে কোন সমস্যায় উনি সহযোগীতার হাত বাড়ীয়ে দেন। এলাকার মানুষ চাকুরী সহ অন্যান্য বিষয়ে উনার সাথে যোগাযোগ করলে উনি আন্তরিক ভাবে সহযোগীতা করেন।
মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আহবায়ক নজরুল ইসলাম জানান, যত রাত হউক উনাকে ফোন করলে ফোন ধরে কথা বলেন। আমার এলাকার অনেক নিরীহ মানুষকে উনি আইনী সহায়তা ও গরীব মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন এই জন্য মাতারবাড়ীবাসি উনার প্রতি কৃতজ্ঞ। সাবেক শিল্প মন্ত্রী দিলীপ বড়–য়াকে কালারমারছড়া বাজার মাঠে বিগত ২০১১ সালে লবনের মূল্য বৃদ্ধির দাবীতে লবণ চাষীদের পক্ষ থেকে আয়োজন করা অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজকও ছিলেন তিনি। এবং সাবেক শিল্প মন্ত্রী দিলীপ বড়–য়ার কাছ থেকে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার লবন চাষীদের ন্যায্য মূল্য পাইয়ে দিতে মূল ভূমিকায় ছিলেন তিনি। পাশাপাশি একই মিটিং-এ পান চাষীদের ন্যায্য মূল্য দাবীতেও ভূমিকা ছিল তার অগ্রগন্য। সে হিসেবে লবন চাষীও পান চাষীদের কাছে রয়েছে তার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধাবোধ।
এই ব্যাপরে ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক মহিব উল্লাহ জানান, উনি সাবেক শিল্প মন্ত্রীকে নিয়ে কালারমারছড়া বাজারে বড় জনসভা আয়োজনের পর থেকে আমরা ছোট মহেশখালীবাসী পানের ন্যায্য মূল্য পেয়েছি। এই জন্য আমরা ছোট মহেশখালীবাসী উনার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং উনাকে যদি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে ছোট মহেশখালীর পান চাষীগণ কৃতজ্ঞতার জবাব দেবেন। পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের দীর্ঘ ৮ বছর ক্ষমতা থেকেও বঞ্চনা, অবহেলা, ওসমানগণির জনপ্রিয়তাকে আরোও একধাপ এগিয়ে নিয়েছে বলে তৃণমূল আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের অভিমত।
এই ব্যাপরে কুতুবদিয়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক সেলিম উদ্দীন লিটন জানান, ওসমান ভাই সরকারের সুবিধাভোগী ব্যক্তি না হয়েও কুতুবদিয়ার তৃণমূল আওয়ামীলীগ কর্মীদের যতটুকু সম্ভব সহযোগীতা করেন। তাই আমরা উনাকে নিয়ে আগামীতে নির্বাচনী যুদ্ধে তরী পার হওয়ার আশাবাদী।
প্রাপ্ত তথ্যে আরও জানাযায়, দীর্ঘ ৮ বছরের ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ার পরও নিজেকে দলীয় কোন্দল, স্বজনপ্রীতি, টেন্ডারবাজী সহ বিভিন্ন অপকর্মে না জড়ানোয় আমজনতার ব্যাপক আস্থাও নির্ভরতার প্রতীকে তিনি পরিণত হয়েছেন বলে মাঠ পর্যায়ের সাধারণ ভোটারদের অভিমত।