জাহেদুল ইসলাম, লোহাগাড়াঃ
লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ সুখছড়ী হাছির পাড়ার হযরত আবুবক্কর সিদ্দিক (রাঃ) ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক নার্সারী বিভাগের শিক্ষার্থী মিফতাহুল জান্নাত (৫) কে বেত্রাঘাত করে গুরুতর জখম করার সংবাদ পাওয়া যায়। গতকাল ৩০ এপ্রিল সকালে মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। আহত ছাত্রী হাছির পাড়ার মোহাম্মদ আইয়ুব ও রাশেদা বেগমের কন্যা।
ছাত্রীর মা রাশেদা বেগম জানায়, তার মেয়ে ওই মাদ্রাসায় লেখা পড়া করে। মাদ্রাসায় পরীক্ষা চলছিল
ঘটনার দিন তবে কোন পরীক্ষা ছিলো না। তা মেয়ে সকালে মাদ্রাসার সামনে দিয়ে দোকানে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত শিক্ষক জামাল হোসেন ডেকে নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বলেন। মিফতা তাতে রাজি না হয়ে দৌড়ে চলে আসতে চাইলে ধরে উপর্যপুরি বেত্রাঘাত করে।এতে ছাত্রীটি গুরুত্বর জখম হয়। তার পিটে প্রতিটি বেত্রাঘাতের চিহ্ন রক্তাক্ত অবস্থায় ভেসে ওঠে।
এঘটনার ফলে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। নির্যাতিত শিশুর অবিভাবক অভিযুক্ত শিক্ষককে এই অমানুষিক নির্যাতনের ব্যাপারে বলতে গেলে উল্টো অভিভাবকে শাসিয়ে দেয় বলে স্থানীয়রা জানায়। এঘটনায় এলাকার লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অভিযুক্ত জামাল হোসেন ওই মাদ্রাসার প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানা যায়। ঘটনার সাথে সাথে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে ওই শিক্ষক এলাকা থেকে পালিয়ে যান বলে স্থানীয়রা জানান। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মালেক এ ব্যাপারে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক জামাল হোসেন একজন ভালো মানের শিক্ষক। তবে কেন তিনি এমনটি করলেন আমার বোধগম্য হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে মোঠোফোনে যোগাযোগে ব্যর্থ হওয়ায় লোহাগাড়ার অফিসার ইনচার্জ মো: শাহজাহান পিপিএম বার এর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
শিক্ষকের বেত্রাঘাতে রক্তাক্ত শিক্ষার্থী
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।