বিশেষ প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ সরকার একটা ধোকাবাজির সরকার। তারা দেশে উন্নয়নের নামে তামাশা শুরু করেছে। এক সুইচ টিপেই তারা সরাদেশের উন্নয়নের জোয়ার বয়ে দিচ্ছে। মানুষ আওয়ামী লীগের ধোকাবাজি বুঝে ফেলেছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখেই তাদের পতনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যালট বাক্স পেলে তার প্রমাণ দেবে দেশবাসী।
জেলা বিএনপির কার্যালয় প্রাঙ্গনে ১ মে অঅন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে জেলা শ্রমিকদল আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি ও কক্সবাজার পৌর প্যানেল মেয়ার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আগাম নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে। বিভিন্ন সভা সমাবেশে নৌকা মার্কায় আবার ভোট চাওয়া শুরু করেছে। তারা নিজেদের অবস্থান বোঝতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে সুষ্ঠু পরিবেশ ও সমান সুযোগ চাই।
এ সময় খালেদা জিয়ার ডাকের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তু থাকার আহবান জানান তিনি।
সভার প্রধান বক্তা জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক হুইফ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে সাধারণ মানুষের মাথায় বারি (আঘাত) দিচ্ছে। পরিবেশ বিধ্বংসী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সেখানকার মানুষের চেহারার রংশুদ্ধ পরিবর্তন হয়ে যাবে। বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে পুরো দ্বীপ। মূলতঃ সরকার আখের গোছাতে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. কুতুব উদ্দিন কমিশনারের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, জেলা যুবদলের সভাপতি ছৈয়দ আহমদ উজ্জল, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর প্যানেল মেয়র জিসান উদ্দিন জিসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আমীর আলী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মনির উদ্দিন মনির, চকরিয়া পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, পেকুয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মুজিবুল হক চৌধুরী, কক্সবাজার পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি এস্তাক আহমদ, রামু উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জাহেদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আহমদ ছৈয়দ ফরমান, টেকনাফ শ্রমিক দলের সভাপতি মোক্তার আহমদ, উখিয়া সভাপতি মো. শফি সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা সভাপতি বেলাল উদ্দিন, আবাসিক হোটেল শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আলী, কক্সবাজার পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি আবদুল হালিম ভান্ডারী, হোটেল শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু ছৈয়দ, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন, ২ নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, পেকুয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখেই তাদের পতনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে
প্রকাশ:
২ মে, ২০১৭ ০১:০২
, আপডেট:
২ মে, ২০১৭ ০১:০৮
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
