জাহেদুল ইসলাম, লোহাগাড়া:
লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর কলাউজান সোনারবর বাড়ি এলাকায় মৃত ফারুক আহমদের স্ত্রী মাসুদা খাতুনের (৬০) বসত-ভিটায় জায়গা-জমির বিরোধের জের ধরে গত ৩০ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার সময় বহিরাগত লোকের হামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রহিম (৩৫) ও উত্তর কলাউজান আবুল কাশেমের পুত্র মোঃ খানে আলম (২৫) আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। আহতরা বর্তমানে চট্টগ্রামের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানায় মাসুদা খাতুন বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১, তারিখ ০১/০৫/২০১৭ ইং। বিবাদীরা হলেন উত্তর কলাউজান খালেদাত খান পাড়ার মৃত মুনু মিয়ার পুত্র মোঃ ছিদ্দিক আহমদ (৫৫), ছিদ্দিক আহমদের পুত্র মোঃ ইব্রাহিম (৩২), কলাউজান রাজা মিয়া চেয়ারম্যান পাড়ার মোঃ তাজুল ইসলাম (১৮), পশ্চিম কলাউজান বাহাদুর পাড়ার জামাল উদ্দিনের পুত্র মোঃ জকরিয়া (২০), নুরুল ইসলামের পুত্র মোঃ শাকিল আহম্মদ (১৯), বকসি সিকদার পাড়ার নুরুল হকের পুত্র মোঃ এনামুল হক (২০) ও নুরুল ইসলামের পুত্র মোঃ হেলাল উদ্দিন (২১)।
মামলার বিবরণী সূত্রে জানা যায়, বিবাদীদের সাথে পূর্ব থেকে জায়গা-জমি সংক্রান্তে বিরোধ চলে আসছে। পূর্ব শত্র“তার জের ধরে ঘটনারদিন রাতে বিবাদীগণসহ অজ্ঞাত ৫/৬ লোকজন লোহার রড, দা, কিরিচ, চুরি, গাছের বাটাম ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদীনির সম্পত্তি দখলের জন্য হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রহিম ও খানে আলমসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিবাদীরা তাদেরকে এলোপাতাড়িভাবে ছুরিকাঘাত করে। এতে আবদুর রহিম মেম্বার ও খানে আলম গুরতর আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে আরো সংঘর্ষের আশংকা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে বিবাদীর সাথে উত্তর কলাউজান খালেদদান পাড়ার মৃত আবদুর রশিদের পুত্র আহমদ কবির (৫০) এর সাথেও জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলছে বলে আহমদ কবিরের পুত্র মোঃ শাহজাহান জানান। ঘটনাস্থল হতে পুলিশ ৬ জনকে আটক করে। গত ২ মে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করেছে বলে থানা সূত্রে প্রকাশ।
লোহাগাড়া থানার এসআই মাহবুব হোসেন ও এসআই আবদুল আউয়াল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
কলাউজান ইউপি চেয়ারম্যান এম. এ. ওয়াহেদ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। পরিষদের একজন সদস্যের হামলা নেক্কারজনক। তিনি এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। তদন্তপূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।