ডেস্ক নিউজ:
খাতা মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী কাছে ১০ শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসময় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। ফলাফল হস্তান্তরের সময় সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা পাস করেছে তাদের ও তাদের অভিভাবকদের অভিনন্দন জানাই। আর যারা পাস করতে পারেনি তাদের মন খারাপ করার কিছু নেই। আগামীতে ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে যাতে তোমরা পাস করতে পারো।’
এবার ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি পাস করেছে এ প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেয়েরা সবসময় পরীক্ষায় ভালো ফল করে। ছেলেদের আরও ভালো করতে হবে। আমাদের ছেলেরা অত্যন্ত মেধাবী। তারা ফেল করবে বিশ্বাস করা যায় না। একটু মনোযোগী হলে তারা ভালো ফল করতে পারবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষা জাতির জন্য অপরিহার্য। দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ করতে হলে শিক্ষাই হচ্ছে মূল হাতিয়ার।’
এবার ১০ শিক্ষা বোর্ডে মোট পাসের হার ৮০.৩৫ শতাংশ। ২০১৬ সালে পাসের হার ছিল ৮৮.২৩ শতাংশ। আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়েদের পাসের হার বেশি। এবার ছাত্রদের পাসের হার ৭৯.৯৩ শতাংশ এবং ছাত্রীদের পাসের হারে ৮০. ৭৮ শতাংশ।
এদিকে, বেলা ১২টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। দুপুর ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট, মোবাইলের এসএমএস ও নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারবে।
প্রসঙ্গত, গত ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে এসএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২ মার্চ পর্যন্ত। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ মার্চ।
এ বছর ১০টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ৩ হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসটি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন ও ছাত্রী ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন। নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৭ হাজার ১২৪ জন। এছাড়া অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯৮ জন এবং বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৮ জন।
গত বছরের চেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০ জন বেশি হওয়ায় বাড়ানো হয় ৯৩টি কেন্দ্র। এর মধ্যে দেশের বাইরে বিদেশের (জেদ্দা, রিয়াদ, ত্রিপোলি, দোহা, আবুধাবি, দুবাই, বাহরাইন ও ওমানের সাহাম) ৪৪৬ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ছিল ৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র।
এ বছর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং কারিগরি শিক্ষা নামে দুটি নতুন বিষয় যুক্ত হয়। বাংলা দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র ছাড়া সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছে। এ ধরনের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।