প্রথমবারের মতো দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ভ্রমণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৬ মে) সকালে ঢাকা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে চড়ে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার যাবেন। এ ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বিমানের বোয়িং-৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ চলাচল শুরু হবে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজকে চার্টার্ড ঘোষণা করা হয়। তবে এবার কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ভ্রমণ করবেন। ফ্লাইটের অন্য যাত্রীরা টিকেট কেটে ভ্রমণ করবেন।
বিমান সূত্রে জানা গেছে,কক্সবাজারে ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান। অন্যান্য এয়ারলাইন্সও ছোট উড়োজাহাজ দিয়ে কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়নের ফলে বড় উড়োজাহাজ অবতরণ করতে সক্ষম হবে। প্রথমে বিমান বোয়িং-৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ দিয়ে কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এ উড়োজাহাজটি ১৬২ যাত্রী বহনে সক্ষম। কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক হলে সেখানে থেকে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান।
এ প্রসঙ্গে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, ‘কক্সবাজার রুটে আধুনিক ও বড়সর বোয়িং-৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট এই প্রথম শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী ফ্লাইটে ভ্রমণ করবেন। এর আগে টেস্ট ফ্লাইটসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর করতে উন্নয়ন কাজ চলছে।
সিভিল এভিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬৭৭৫ ফুট থেকে ৯০০০ ফুট করা হয়েছে। রানওয়ের প্রস্থ ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট করা হয়েছে। এছাড়া, এয়ারফিল্ড লাইটিং সিস্টেম, ফায়ার ফাইটিংসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংযোজিত হচ্ছে। ২০১৮ সালে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু হবে।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, ‘দেশের পর্যটনের জন্য কক্সবাজার গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশি পর্যটকরা সরাসরি কক্সবাজারে আসতে পারলে পর্যটন খাতে আয় অনেক বাড়বে।’
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।