ইমাম খাইর, সিবিএন
এসএসসি ও দাখির পরীক্ষার ফল গতকাল প্রকাশিত হয়েছে। এবার এসএসসিতে পাশের হার ৮৫.৯২ এবং দাখিলে ৮২.৩৮ শতাংশ। কক্সবাজার সৈকত বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ৩জন জিপিএ-৫সহ শতভাগ পাশ করেছে।
এদিকে দাখিলে পাশের হার বাড়লেও কমেছে এসএসসিতে। গত বছর জেলায় এসএসসিতে পাশের হার ছিল ৯১.২৭ শতাংশ। এবার পাশের হার কমেছে ৫.৩৫ শতাংশ। পাশের হার কমলেও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬১৭ জন। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৬৬ জন। এদের মধ্যে শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগ থেকেই জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৬২ জন। বাণিজ্য বিভাগ থেকে ৯৪ জন ও মানবিক বিভাগ থেকে ১০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। জেলা প্রশাসনের শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা সূত্রে এইসব তথ্য পাওয়া গেছে। এসএসসিতে জেলায় পরীক্ষার্থী ছিল ১৫ হাজার ৪১২ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১৩ হাজার ১৯৯ জন।
অপরদিকে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধিনে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় জেলায় পাশের হার ৮২ ৩৮ শতাংশ। দাখিলে পরীক্ষার্থী ছিল ৬ হাজার ১৯ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ৪ হাজার ৯৫৯ জন। তবে দাখিলে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানা যায়নি। গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা করেন। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী।
ফলাফল বিশ্লেষন করে দেখা গেছে, এসএসসিতে জেলায় এবার মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা ভালো করেছে। জেলায় ছেলেদের পাশের হার ৮৭ দশমিক শূণ্য ৫ শতাংশ। মেয়েদের পাশের হার ৮৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ। সাত হাজার ৩৪৭ জন ছেলের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬ হাজার ৩৮৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৩৫ জন। ৮ হাজার ৬৫ জন মেয়ের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৬ হাজার ৮১৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩১ জন। অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞান বিভাগের পাশের হার ৯২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। বানিজ্য বিভাগে পাশের হার ৮৮ দশমিক ৭১ শতাংশ ও মানবিকে ৭৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
বরাবরের মত ভাল ফলাফল অর্জন করেছে মাধ্যমিক পর্যায়ে জেলার দুই শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শতভাগ পাশ করেছে জেলা শহরের সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামমোহন সেন জানান, কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এবার পরীক্ষার্থী ছিল ২৫৪ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৪৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৪ জন। পাশের হার ৯৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। গত বছর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১৪০ জন। তিনি বিদ্যালয়ের এই সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবু ইউসুফ জানান, তাঁর বিদ্যালয় থেকে এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ২৫৯ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৫৭ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৫ জন। পাশের হার ৯৯ দশমিক ২২ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ মার্চ।
কক্সবাজারে এসএসসিতে পাশের হার ৮৫.৯২ দাখিলে ৮২.৩৮ শতাংশ
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।