আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল জয়ের পরও থেমে নেই বাংলাদেশি অর্থনীতিবিদ, ক্ষুদ্রঋণের পথিকৃৎ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ২০১১ সালে তার সামাজিক ব্যবসার ধারণা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে সম্প্রসারণ ঘটিয়েছেন।

ইউনূস বলেছেন, এ ধারণা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেও একই রকম। এতে দারিদ্র, আবাসন সমস্য, পানি সংকট, স্বাস্থ্য সমস্যার মতো সব সমস্যার সমাধান রয়েছে। দারিদ্র এবং ধনী দেশগুলোতে এসব সাধারণ সমস্যা। অস্ট্রেলিয়ায় দরিদ্র মানুষ আছে, আমেরিকা ও ইউরোপেও আছে।

বাংলাদেশি এই নোবেল জয়ী গত বছর অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস, ল্যাট্রোব ইউনিভার্সিটিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনূস স্যোসাল বিজনেস সেন্টার চালু করেন। চলতি বছরে নিউজিল্যান্ডে আরো দুটি সেন্টার চালু করা হয়েছে।

আগামী ৬ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার সামাজিক ব্যবসা ফোরামের ‘পজিটিভ ডিসরাপশন : লিড দ্য চেঞ্জ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেবেন বাংলাদেশি এই নোবেল বিজয়ী। এ বৈঠকের আগে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকারে সামাজিক ব্যবসার আদ্যপান্ত নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

গার্ডিয়ানকে তিনি বলেন, আমরা সবাই উদ্যোক্তা। তরুণদেরকে এ সম্পর্কে জানতে হবে। তাদের জানা উচিত যে বিশ্বে দুই ধরনের ব্যবসা আছে। প্রথম ব্যবসা অর্থ তৈরি করে। অন্যটি বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। এটি একটি একাডেমিক চর্চা; যা তারা বাস্তব জীবনে চর্চা করে। তাদেরকেই ঠিক করতে যে তারা কেমন জীবন বেছে নেবে।

মার্কসবাদী, বিপ্লবীদেরকে সমাজের জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করেন ইউনূস। তিনি বলেন, বিপ্লবে সমাধান নেই। ইউনূসের প্রশ্ন, বিপ্লবের পর আপনি কী করবেন? আপনাকে বিপ্লবের পেক্ষাপট বুঝতে হবে। আপনি কমিউনিস্ট ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চান না; যা কোনো সমস্যার সমাধান দিতে পারে না।

তবে পুঁজিবাদও তার জন্য কাজে আসছে না বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশি এই নোবেল বিজয়ী। প্রত্যেকই প্রাকৃতিকভাবেই উদ্যোক্তা; এমন বিশ্বাসেই বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত তার ক্ষুদ্র ঋণের ধারণা গড়ে উঠেছে।