সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন ডিজিটাল উদ্যোক্তা বাপ্পির উপর সন্ত্রাসি হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন জেলা ডিজিটাল উদ্যোক্তা ফোরাম কক্সবাজার।

এ সময় সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কায়সার উদ্দিন ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানান। না হয় সকলকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন।

জেলা ট্রাক ট্যাংক লরী ও কার্ভাড ভ্যান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন:
পালংখালী ইউনিয়ন ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও জেলা ট্রাক ট্যাংক লরী ও কার্ভাড ভ্যান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন বালুখালী কাষ্টমস অফিস শাখার কোষাধ্যক্ষ বাপ্পির উপর সন্ত্রাসি হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি মোস্তাক আহাম্মদ ও সাধারণ সম্পাদক জহির উল্লাহ। বিবৃতিদারা বলেন এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনের ডাক দিবে শ্রমিক সংগঠন।

প্রসঙ্গতঃ ৬ মে বেলা ১১ টার দিকে বালুখালী কাষ্টমস এলাকায় জনপ্রতিনিধি নামে মুখোশধারী সন্ত্রাসি নুরুল আবছারের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা সন্ত্রাসির কবল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় যুবক বাপ্পিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে আহতের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তিনি বর্তমানে সদর হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলায় আহত যুবক পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোগতা ও বালুখালী এলাকার মাষ্টার ফজলুল হকের পুত্র জিয়াউল হক বাপ্পি।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ও জনসভা সফল করার লক্ষে মুক্তিযোদ্ধার সপক্ষের একটি শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভার আয়োজন চলাকালে জামায়াত-বিএনপিকে ইন্দন যোগান ও দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্তির দায়ে যুবলীগের সদ্য বহিষ্কৃত মুখোশধারী নেতা নুরুল আবছার তার বাহিনী নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসিদের বাঁধা দিলে ওই সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ ও পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোগতা জিয়াউল হক বাপ্পির উপর হামলা চালায়।

সুত্রে জানা যায়, জনপ্রতিনিধির আড়ালে এই ব্যাক্তি রোহিঙ্গা মদদ, ইয়াবা ব্যবসা, অস্ত্র মতজুদসহ এলাকাজুড়ে সন্ত্রাসি কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে এমন অভিয্গো ভূক্তভোগীদের। এছাড়াও এই মুখোশধারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পরিপন্থি ও নাশকতামুলক কর্মকান্ডের জড়িত থাকার অভিযোগ এলাকাবাসির। গত পহেলা এপ্রিল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম বালুখালী পান বাজারস্থ তার ব্যাক্তিগত অফিস থেকে অস্ত্র-গোলা বারুদসহ কিরিচ ও নাশকতার নানা সরঞ্জামদি উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বহু অপকর্মের হোতা নুরুল আবছার পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। বে-আইনিভাবে অস্ত্র মওজুদ ও উদ্ধারের ঘটনায় জিডি করেন পুলিশ। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ ভূক্তভোগীদের।

আহতের বড় ভাই সাংবাদিক আমিনুল হক আমীন জানান, জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুবাদে সে এলাকায় নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে আসছে। তার হাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না এলাকার নিরাপরাধ মানুষ। সে অবৈধভাবে রোহিঙ্গা আশ্রয়-পশ্রয়দাতা হিসেবেও এলাকায় ব্যাপক সমালোচিত। আমার ছোট ভাই নিরাপরাধ তার উপর হামলা নিন্দনীয়। আবছারসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের জানান, আমি ঘটনার বিষয়ে অবগত রয়েছি। অভিযোগ পেলে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।