নুর হাকিম আনোয়ার,টেকনাফ

অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে কক্সবাজারের টেকনাফে দালালসহ ১৯ জনকে আটক করেছে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ।

মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনা এলাকায় ওসি (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামানের নেতৃত্বে আটক দালাল বুলবুলির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ১৭ জনই মিয়ানমারের নাগরিক ও দুই বাংলাদেশী দালাল। এ ঘটনায় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোণার মোক্তার আহমদের ছেলে আবুল হোসেন(৪২)ও শামশুর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৬)কে পলাতক আসামী করে মানবপাচার আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, মিয়ানমারের মংডু জেলার ঝিমংখালী থানার মরিক্ষং এলাকার নুর হোসনের ছেলে জামাল (২২), গোলাব্বরের ছেলে জুবাইর (১৯), খুইল্ল্যা মিয়ার ছেলে মো: ইলিয়াছ (১৯), নুরুল ইসলামের মোহাম্মদ রফিক (১৯), লাল মিয়ার ছেলে মো: ইদ্রিস(১৯), আবুল কালামের ছেলে নুরুল ইসলাম(১৯), সিকান্দরের ছেলে মো: সেলিম (১৯),আবদুস শুক্কুরের ছেলে মো: আয়ুব(২০),জাফর আহমদের ছেলে ইউনুস(৪০),সোনা আলীর ছেলে জুবাইর (১৯), নুরুল আলমের ছেলে জাহেদ হোসেন(১৯),কাশিম আলীর ছেলে আবদুল হক (৪০), ছৈয়দুল আমিনের স্ত্রী আছিয়া বেগম (১৯), আবদুল হকের স্ত্রী ছমিরা বেগম (১৯), ইমান হোসনের স্ত্রী রফিকা বেগম(২৫),নুর হাসেম ছেলে আজিদা বেগম (১৯), বলিবাজারের জলিলের ছেলে মো: রফিক (২০), দালাল হলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনার মোক্তার আহমদের ছেলে মোহাম্মদ খলিল ওরফে ইসমাইল (৩৬) ও মোহাম্মদ তৈয়ুবের স্ত্রী বুলবুলি (৩৫)।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মাইন উদ্দিন খাঁন জানান, মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রাকালে দুই দালাল এবং ১৭ যাত্রীকে আটক করা হয়।

তিনি আরো বলেন, দুইজনকে পলাতক আসামি দেখিয়ে আটক দালালসহ ২১জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।