সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

বনানীতে ধর্ষণসহ সাম্প্রতিক অব্যাহত খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে সকল খুনি ধর্ষককে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে ১২ মে শুক্রবার বিকাল চারটায় শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল ও গণ সমাবেশ করবে গণজাগরণ মঞ্চ।

গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বুধবার সকালে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

ইমরান এইচ সরকার বলেন, “বাংলাদেশ এখন যেন ধর্ষকদের অভয়ারণ্য। প্রতিদিন কেউ না কেউ ধর্ষিতা হচ্ছেই। পাঁচ বছরের শিশু থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, কেউই এসব জানোয়ারদের ছোবল থেকে বাঁচতে পারছে না। কিন্তু এর কোনোটিরই বিচার হচ্ছে না। বিচার না হওয়ায় ধর্ষকরা পাচ্ছে বেপরোয়া হওয়ার লাইসেন্স। অবস্থা এমন যার টাকা আছে সে চাইলেই খুন ধর্ষণ করতে পারে।

কিছুদিন আগে বনানীতে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক সাফাত, নাঈম, সাকিফের অভিভাবকের বক্তব্য প্রমাণ করেছে তারা নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে মনে করছে। তারা ভাবছে যেহেতু পয়সা আছে তারা যেকোনো কিছু করে পার পেতে পারে।

মেয়ের ধর্ষণের বিচার না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন একজন বাবা। একটা দেশের জন্য এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে?”

প্রশাসনের গাফিলতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইমরান বলেন, “তনু হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশ একসাথে ফুঁসে উঠেছিল, কিন্তু সরকার অত্যন্ত সুকৌশলে সেটি ধামাচাপা দিয়েছে। কাজেই এই অব্যাহত খুন ধর্ষণের দায় সরকারকে নিতে হবে। কেননা যদি তনুর ধর্ষক ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া যেত তাহলে অন্যরা এই অপরাধ করার সাহস পেত না।”

সাধারণ মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে উল্লেখ করে ইমরান এইচ সরকার বলেন, “আমাদেরকে ঠেলে এমন একটা জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে যে এখান থেকে প্রতিরোধ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। খুনি ধর্ষকরা নিজেদের শক্তিশালী ভাবছে, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রমাণ করতে হবে জনতার শক্তির চেয়ে বড় কিছু নেই।”

দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র বলেন “আসুন একবার ঐক্যবদ্ধ হই। শুক্রবার বিকাল চারটায় আসুন শাহবাগে। আপনি আমি হাত ধরে ব্যারিকেড করলে ধর্ষকদের কেউ বাঁচাতে পারবেনা।”

বিক্ষোভ মিছিল ও গণসমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।