ডেস্ক নিউজ:
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ আদালতে এসে গণমাধ্যম থেকে মুখ লুকালো। শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত প্রাঙ্গণে গণামাধ্যমকর্মীদের দেখে কখনও পুলিশের পেছনে গিয়ে, কখনও হাত দিয়ে মুখ ঢাকার চেষ্টা করে তারা। দুপুর আড়াইটার দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে এই দুই আসামিকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নেওয়া হয়।
এর আগে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ চুল কেটে, জুলফি বাড়িয়ে-কমিয়ে চেহারায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করে। বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটে গ্রেফতারের পর থানায় তোলা তাদের ছবি দেখে আগের ছবির সঙ্গে চেহারায় মিল কতটা, তা নিয়ে শুরুতে সংশয় দেখা দিয়েছিল।
গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে মাথা নিচু করে মুখ লুকানোর চেষ্টা করছে সাদমান সাকিফ সিলেট থেকে ঢাকায় এনে পুলিশ এই দুই আসামির ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত শুনানি শেষে সাফাত আহমেদের ৬ দিন ও সাদমান সাকিফের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার প্রধান আসামি সাফাতের আগের ছবিতে তার বাহারি চাপ দাঁড়ি দেখা গেলেও গ্রেফতারের পর তোলা প্রথম ছবিতে ক্লিনসেভ ও চুল ছোট করে কাটা দেখা গেছে। এতে তার চেহারার আদল বদলে যাওয়ায় প্রথমে সংশয় দেখা দিলেও পরে বুঝতে অসুবিধা হয়নি এই সেই সাফাত।
ধর্ষণের শিকার হওয়া দুই তরুণী গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণ মামলার এজাহারে তারা উল্লেখ করেন, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। এরপর বনানীর ‘রেইনট্রি’ হোটেলে নিয়ে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। এ ঘটনার দৃশ্য সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয় বলেও উল্লেখ করা হয় এজাহারে। ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলো সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।