মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও
ঈদগাঁও বাজারের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হোটেল ফোরস্টার চত্বরটি এখন শাপলা চত্বর। সরকারী খাস খতিয়ানভূক্ত এ স্থানে স্থাপিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন শাপলা ফুল। যা বাজারের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে সরকারী জমিকে দখলমুক্ত করেছে। সুধীমহল এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, উক্ত স্থানটি বছরের পর বছর হকার, ফলমূল ব্যবসায়ী ও রিক্সার দখলে ছিল। দূর থেকে দেখলে মনে হতো যেন ছোটখাট একটি রিক্সা পার্কিং। এ নিয়ে সচেতন বাজারবাসীদের মনে দীর্ঘদিন ক্ষোভ ছিল। অবশেষে জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদের অভিপ্রায়ে উক্ত স্থানে জোয়ারিয়ানালা থেকে এনে স্থাপন করা হয় দৃষ্টিনন্দন একটি শাপলা ফুল। সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। শেষ হতে আরো কয়েকদিন লাগতে পারে। জালালাবাদ ১নং ওয়ার্ড মেম্বার মোক্তার আহমদ জানান, চেয়ারম্যানের নির্দেশনামতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে এ শাপলা স্থাপন করা হয়েছে। সপ্তাহ যাবত চালানো হচ্ছে উক্ত কাজ। এখন বাকী রয়েছে কেবল চতুর্দিকে টাইলস স্থাপন, লোহার পাইপের গ্রিল ও ঝিনুক বাতি লাগানোর কাজ। তিনি বলেন, স্থানীয় হোটেল নিউস্টার স্বত্ব¦াধিকারী আরিফুর রহিম ও রাজপরী বস্ত্রালয়ের উদ্যোক্তা রাসেল উদ্দীন জনগুরুত্বপূর্ণ এ কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তার তত্ত্বাবধানে এ কাজ চলছে জানিয়ে বলেন, এর মাধ্যমে বাজারের শোভা বৃদ্ধি পাবে। পঁচা ও দূর্গন্ধ পরিবেশ থেকে বাজারবাসী মুক্তি পাবেন। তাছাড়া লোকজন স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারবেন। বাজারে আগত লোকজন একটু করে হলেও স্বস্তি বা দম ফেলানোর সুযোগ পাবেন। অত্র পরিষদের অন্যতম এমইউপি নুরুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি চেয়ারম্যান ব্যক্তিগতভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান। তবে এর অর্থায়নের ব্যাপারে পরিষদে কোন ধরণের রেজ্যুলেশন হয়েছে বলে জানেন না তিনি। স্থানীয় আলমাছ লাইব্রেরীর মালিক মাওলানা আলী আহমদ জানান, শাপলা স্থাপনের বিষয়টি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে বটে। কিন্তু এর ঝরণার পানি পাশর্^বর্তী রাস্তায় চলাচলে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আমিন স্টোরের স^ত্ত্বাধিকারী রহমত উল্লাহ কিন্তু এতে লাভ-ক্ষতির কিছুই দেখছেন না। শরমী ওয়াচ সার্ভিসের রিপন বলেন, বাতি স্থাপনের ফলে তাদের ব্যবসায় গতি আসবে। ডিপার্টমেন্টার স্টোরের স^ত্ত্বাধিকারী খোরশেদ আলম একে একটি ভাল উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন।