পরিবর্তন : পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদকে ঘিরে মানবসভ্যতার গোড়া থেকেই কৌতুহলের শেষ নেই। রাতের আকাশে দেখতে পাওয়া গোল বস্তুটিকে ভালোভাবে জানতে প্রতিটি সভ্যতাই নিয়েছিল নানা উদ্যোগ। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা নাসা কিংবা রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমস ষাটের দশকে চন্দ্র অভিযান নিয়ে যেভাবে প্রতিযোগিতায় নেমেছিল, রহস্যময় কারণে তাতে ভাটাও পড়তে দেখা যায়। সম্প্রতি মার্কিন সহায়তায় ভারত চাঁদে রোবট যান পাঠালেও অজ্ঞাত কারণে সেটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ফলে অনেকের মনেই প্রশ্ন, চাঁদে কি রয়েছে যার কারণে বর্তমান মানব সভ্যতা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে? সম্প্রতি বহু পুরনো একটি ভিডিও’কে ঘিরে আবারও আলোচনা চলছে। ২০০৭ সালে ইউটিউবে প্রকাশের পর এতদিন ভিডিওটি নিয়ে আলোচনা না হলেও বর্তমানে ঠিকই তা প্রাধান্য পেয়েছে।
১৯৬৯ সালে মানুষের প্রথম চন্দ্র অভিযানের পর অনেকেই দাবি তুলেছিল, নভোচারীরা সেখানে এমন কিছু স্থাপনা দেখেছিলেন যা প্রমাণ করে ভিনগ্রহীদের সেখানে যাতায়াত রয়েছে। কিন্তু মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বরাবরই সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে।
কিন্তু ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওটি বলছে অন্য কথা। রাশিয়া চাঁদে প্রথম পা রাখা নাসার নভোচারী নিল আর্মস্ট্রংয়ের একটি ভিডিও ফাঁস করে। আর সেটি জনসমক্ষে প্রকাশ পেলে বিষয়টি নিয়ে আবারও আলোচনার জন্ম দেয়।
সাদাকালো ভিডিওটিতে অস্পষ্ট হলেও বোঝা যাচ্ছে চাঁদের বুকে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিশাল সব স্থাপনা। দীর্ঘদিন যে চাঁদকে রুক্ষ ও মৃত উপগ্রহ হিসেবেই জেনে এসেছে মানুষ, ভিডিওটি তাদের জন্য বিরাট এক ধাক্কা হবে বলেই বলছেন এলিয়েন বিশ্বাসীরা।
অবশ্য চাঁদে এলিয়েনের বিচরণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অনেক বিজ্ঞানী, নভোচারী এবং শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কর্মকর্তারা কথা বলেছেন। তারা দাবি করেছেন মহাকাশে আমরা একা নই। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বক্তব্য দিয়েছিলেন নাসা’র সাবেক নভোচারী এডগার মিশেল। চাঁদে ৬ষ্ঠ মানুষ হিসেবে পা রাখা এই নভোচারী জানিয়েছিলেন, মহাবিশ্বে কত যে রহস্য ছড়িয়ে রয়েছে তার কিছুই আসলে আমরা জানি না। চাঁদে পা ফেলার পর থেকেই তার মনে হয়েছে কেউ বা কারা তাকে লক্ষ্য করছে। তাছাড়া চাঁদের মাটিতে তিনি যেসব স্থাপনা দেখেছেন তা থেকে পরিস্কার, চাঁদে মানুষই প্রথম পা রাখেনি।
তার বক্তব্যগুলো পাগলের প্রলাপ হিসেবে নাসা উড়িয়ে দিলেও এলিয়েন বিশ্বাসীরা বলছেন, সত্য একদিন ঠিকই প্রকাশ পাবে।
তার বক্তব্যগুলো পাগলের প্রলাপ হিসেবে নাসা উড়িয়ে দিলেও এলিয়েন বিশ্বাসীরা বলছেন, সত্য একদিন ঠিকই প্রকাশ পাবে।
এছাড়াও দেখুন রাশিয়ার ফাঁস করা নাসার অপ্রকাশিত আরেকটি ভিডিও:
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।