ডেস্ক নিউজ:
অবশেষে গ্রেফতার হয়েছে বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণ মামলার পলাতক দুই নম্বর আসামি আব্দুল হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ। বুধবার (১৭ মে) রাত পৌনে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, বাংলা ট্রিবিউনের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম-ও নাঈম আশরাফকে গ্রেফতারের খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার একটি দল খিদিরপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে।’
বনানীতে দুই তরুণী ধর্ষণের মামলার অন্যতম আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র দুই নম্বর আসামি নাঈমের প্রকৃত নাম আব্দুল হালিম। সিরাজগঞ্জের সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের একজন দিনমজুরের ছেলে সে। এসএসসি পরীক্ষার পরই সে গ্রাম ছাড়ে। নিজের নাম পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মামলার চার আসামি গ্রেফতার হওয়ার পরও নাঈমের গ্রেফতার না হওয়ার পেছনে সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ভিআইপিদের প্রভাব থাকতে পারে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছিলেন েএক পুলিশ কর্মকর্তা। গ্রেফতার না হওয়া নাঈমের গুরুত্বও বাড়ছিল তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১১ মে) আলোচিত এই মামলার পাঁচ আসামির অন্যতম দুই আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সোমবার (১৪ মে) সন্ধ্যার পর রাজধানীর নবাবপুর ও গুলশান এলাকা থেকে যথাক্রমে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও বডিগার্ড রহমত আলী ওরফে আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করা করা হয়।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন দুই তরুণী। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওই দুই তরুণীকে জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। এরপর তাদের বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। এ ঘটনা সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয় বলেও উল্লেখ করা হয় এজাহারে। ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলো- সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।