আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শিগগিরই বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর ফলে বাংলাদেশি শ্রমিকদের দেশটির ভিসা পেতে আর কোনো জটিলতা থাকবে না। আমিরাতে সফররত বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আরব আমিরাতের বন্ধ ভিসা চালু করার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছেন আমিরাতের মানবসম্পদ ও উন্নয়ন বিষয়কমন্ত্রী সাকর ঘোবাস সাঈদ ঘোবাস।
২০১২ সালে বাংলাদেশের ওপর যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল তা শিগগিরই তুলে নেবে কাতার। বুধবার এমন সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন নুরুল ইসলাম বিএসসি। ওই নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন কোনো শ্রমিক বাংলাদেশ থেকে আমিরাতে যাবার অনুমতি পাননি। তবে যারা আগে থেকেই আমিরাতে কাজ করছিলেন তারা আগের মতই কাজ করছেন। তাদের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, বর্তমানে আরব আমিরাতে অনেক বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ঢাকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আমিরাত সরকার। সেখানে অনেক অবৈধ বাংলাদেশির বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমিরাত।
৭ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক আমিরাতে নির্মানশিল্পের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছেন। নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২০২০ সালের একটি প্রকল্পের কাজের অংশ হিসেবে আরো শ্রমিক প্রয়োজন আমিরাতের।
তিনি আরো বলেন, আমরা আমিরাতের কাছ থেকে বেশ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। শিগগিরই বাংলাদেশি শ্রমিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নতুন ভিসা চালু করতে যাচ্ছে আমিরাত।
নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেক শ্রমিক এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানিতে চাকরি পরিবর্তন করতে পারতেন না। কিন্তু আমিরাতের মানবসম্পদ ও উন্নয়ন বিষয়কমন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে এই সমস্যারও খুব শিগগিরই সমাধান করা হবে এবং বাংলাদেশি শ্রমিকরা তাদের চাকরি পরিবর্তনও করতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাজ দিতে আগ্রহী।
কি পরিমাণ বাংলাদেশি শ্রমিক নেবে আমিরাত সে সংখ্যা স্পষ্টভাবে না বললেও নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বহু শ্রমিককে নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।