আলোকিত রাজারকুল

প্রকাশ: ১৯ মে, ২০১৭ ০৯:০৭ , আপডেট: ১৯ মে, ২০১৭ ১০:০০

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


  • নঈম আল ইস্পাহানপর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত রামু উপজেলার অন্যতম একটি ইউনিয়নের নাম রাজারকুল।যার উত্তরের কোল ঘেষে বয়ে গেছে বাঁকখালী নদী,পূর্ব,পশ্চিম ও দক্ষিণে বিশাল সবুজের সমারোহে ভরপুর সব পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত।পনের হাজারের ও বেশি মানুষের বসবাস রাজারকুলে।যার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে।

    ২০১৪সালের ১৯আগষ্টের কথা।রাজারকুলেরই কৃতি সন্তান জায়েদুর রশিদ জায়েদ নিজের এলাকার সার্বিক উন্নয়নের তাগিদে এলাকার তরুণদের নিয়ে একটি সমাজকল্যাণ মূলক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।যার প্রাথমিক পথচলা ফেসবুকে”আলোকিত রাজারকুল” নামক একটি গ্রুফের মাধ্যমে শুরু হয়।দিনে দিনে আলোকিত রাজারকুল প্রসার লাভ করে।ফেসবুক থেকে বেরিয়ে এসে তারা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে।সূচনালগ্নে তারা সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্দ্যেগে দুইশত গরিব,অসহায় পরিবারকে শীতবস্ত্র বিতরণ করে।রাজারকুলে ইলেকট্রিসিটি সমস্যা অনেক পুরাতন।একটু ঝড়,বৃষ্টি হলেই ইলেকট্রিসিটি থাকেনা।যার ফলে মসজিদে আযান দিতে কিংবা মসল্লীদের গরমে নামায পড়তে খুব সমস্যা হয়।আলোকিত রাজারকুল নিজস্ব উদ্দ্যেগে মসজিদে আইপিএস কিনে দেয়।রাজারকুলে আগে কোন মানুষের রক্তের প্রয়োজন হলে রোগীর পরিবারকে বিপদের মুখে এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করতে হত রক্ত সংগ্রহের জন্য।এখন আলোকিত রাজারকুলের সদস্যরা কারো রক্ত লাগলে সাথে সাথে নিজেরা রক্ত দান করে।অধিকাংশ গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা টাকার অভাবে পড়ালেখা করতে না পেরে অকালে ঝরে পড়ত।আলোকিত রাজারকুল তাদের জন্য বৃত্তির প্রচলন করে।রাজারকুলের অসহায় চিকিৎসা বঞ্চিতদের পাশে বরাবরেই আলোকিত রাজারকুল পাশে দাঁড়িয়েছে।অর্থ দিয়ে হোক কিংবা সেবা দিয়ে তাদের সাধ্যমত তারা চেষ্টা করে গরিব মানুষজনের পাশে থাকার।প্রত্যেক বর্ষায় রাজারকুলে বন্যা হয়।এই সময় বিশেষ করে নিম্নশ্রেণীর মানুষজনের কষ্টের সীমা থাকেনা।আলোকিত রাজারকুলের সদস্যরা বন্যায় ব্যাপক সেবাপ্রদান মূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে।তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনের বাড়িঘর মেরামতে সহায়তা করে।অর্থ দিয়ে হোক কিংবা সেবার মাধ্যমে আলোকিত রাজারকুল সব সময় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ায়।

    আলোকিত রাজারকুল একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।রাজারকুলের যাবতীয় সমস্যা মোকাবেলার জন্য এই সংগঠনের সৃষ্টি।বিজয় দিবস,স্বাধীনতা দিবস কিংবা মাতৃভাষা দিবস সহ বিভিন্ন দিবসগুলোতে আলোকিত রাজারকুল শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ সহকারে সূচনার শুরু থেকে নিয়মিত অংশ গ্রহন করে আসছে।রাজারকুলের ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের মধ্যে দেশপ্রেমের মূল্যবোধ সৃষ্টির জন্যই তাদের এই অক্লান্ত প্রয়াস।আলোকিত রাজারকুল সভাপতির কাছে তাদের ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনা সম্পর্কে জানতে চইলে তিনি বলেন,আমরা রাজারকুলের মানুষের সুখ দুঃখে আজীবন নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যেতে চাই।সকলে মিলেমিশে সুন্দর একটি রাজারকুল প্রতিষ্ঠা করতে চাই।আমরা চাই আলোকিত রাজারকুলের আদর্শ ছড়িয়ে পড়ুক রামু,কক্সবাজার সহ সারা বাংলাদেশে।আলোর দিশারি হয়ে জ্বলে উঠুক আলোকিত রাজারকুল!