বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদী শহরে ২টি বাড়ি ও ৩টি দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরিফ তমালসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে মন্ত্রীর শহরের বাড়ি থেকে তমালকে গ্রেফতার করা হয়। পাবনার পুলিশ সুপার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
একই সময় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব সরকারের বাড়িতে পুলিশি অভিযান চালিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। গ্রেফতারদের রাতেই পাবনায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
১৮ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঈশ্বরদীতে যুবলীগের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে দুটি বাড়ি ও তিনটি দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে পাবনায় আদালতে একটি মামলার হাজিরা দিতে গেলে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব সরকার সমর্থক আরিফকে একই কাজে যাওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি যুবায়ের বিশ্বাসের কর্মীরা মারধর করে।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রাজিব গ্রুপের কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে দুপুরে শহরের শহীদ আমিনপাড়ায় অবস্থিত যুবায়ের বিশ্বাসের বাড়িতে হামলা চালায়। এই হামলায় যুবায়েরের মা আহত হন। এর কিছুক্ষণের মধ্যে শহরের প্রধান সড়কে অবস্থিত ফুড জংসন ও লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়।
এ দুটি দোকান পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর ক্রয়কৃত জায়গায় অবস্থিত। যুবায়ের এক সময় মিন্টুর নেতৃত্বে পরিচালিত হতো। একই সমমনা আওয়ামী লীগ নেতা আরিফ বিশ্বাসের পৌর সুপার মার্কেটে অবস্থিত দোকান ও কলেজ রোডে অবস্থিত তার বাড়িতেও হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কয়েকটি মোটরসাইকেলে আসলেও এদের অনেকের মুখ রুমাল দিয়ে ঢাকা ছিল।
বাড়িতে হামলার ঘটনায় যুবায়ের বিশ্বাসের বাবা আতিয়ার রহমান বাদী হয়ে যুবলীগ সভাপতি তমাল শরিফসহ ৩২ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শে পাবনার পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে এই অভিযানে মন্ত্রীপুত্রসহ ১১ জন গ্রেফতার হন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।