হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদায় বিভিন্নভাবে বন ধ্বংস করার মহোৎসব চলছে। বন বিভাগের জমিতে অবৈধ বাড়ি নির্মাণ, মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি, বনায়ন ধ্বংস করে এক ইয়াবা গডফাদারকে মাটি কাটার সুযোগ ও লেদার রোহিঙ্গা বস্তি এবং তার আশেপাশের এলাকায় বন বিভাগের জমিতে দোকান নির্মাণ করে দৈনন্দিন টাকা উত্তোলন, ভাড়া বাসা নির্মাণের সুযোগ করে দিয়ে রোহিঙ্গা লোকজনকে ভাড়া দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কিছু বন খেকো লোকজনের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে লেদা বিট কর্মকর্তা এসব দেখেও না দেখার ভান করে চলছেন বলে স্থানীয় সচেতন মহল দাবি করেছেন।
সরেজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় লেদা মৌলভীপাড়ার আবদুল মালেক বন বিভাগের জমিতে নিজে দালান বাড়ী নির্মাণের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বনের হাজার হাজার গাছ ধ্বংস করে ও মাটি কেটে বন বিভাগের জমি দখল করার খবর পেয়ে সরেজমিন গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিট কর্মকর্তা আবদুল মালেক মুন্সিকে অবহিত করা হলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়ে ২ সপ্তাহ সময় ক্ষেপন করেন। মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে লেদা নুর আলীপাড়া এলাকায় আবুল বশরের স্ত্রী নুর নাহার, হাজী নুর আলীর পুত্র হাছন, আবদুল কাদেরের পুত্র নুরুল ইসলাম ও মৃত ছৈয়দুর রহমানের পুত্র নবী হোছনসহ অনেককে বন বিভাগের জমিতে বাড়ী নির্মাণ করার সুযোগ করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া লেদা শিয়াইল্যাঘোনা এলাকার বনের পাহাড় কেটে ইট ভাটায় মাটি বিক্রি ও লেদা রোহিঙ্গা বস্তি এলাকায় বন বিভাগের জমিতে শত শত দোকান ঘর নির্মাণ করে দোকানপাট খোলার সুযোগ করে দিয়ে স্থানীয় কিছু লোকজনকে ব্যবহার করে প্রতি দোকান থেকে দৈনিক ২০ টাকা করে উত্তোলন, বন বিভাগের জমিতে ভাড়া বাসা নির্মাণের সুযোগ দিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের ভাড়া দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে লেদা বন বিট অফিসার আবদুল মালেক মুন্সি সংবাদকর্মীদের বলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। বন বিভাগের জমিতে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাটি কাটার অনুমতি দেয়ার এখতিয়ার আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন স্থানীয় এমপি ও চেয়ারম্যানরা সবকিছু পারেন। হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এইচকে আনোয়ার সিআইপি বলেন বন বিভাগের জমিতে কাউকে বন কাটা ও মাটি কাটার অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই এবং আমি কাউকে অনুমতিও দিইনি। যদি কেউ আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কোন কিছু করে তাহলে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর সুপারিশ করছি। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের এসিএফ মোঃ সরওয়ার কামালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তা ও জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।