ডাঃ মোঃ তাজুল ইসলাম,
ডাক্তারের কাছে রোগীর সুস্থতার জন্য সবচাইতে বেশী যেটা প্রয়োজন হয় তা হল ডাক্তারের প্রতি রোগীর শত ভাগ বিশ্বাস,যেটা এদেশে কমতে কমতে তলানিতে না,একেবারে শুন্যে এসে ঠেকেছে।।
নইলে যে শিক্ষকের বই পড়ে শুধু বাংলাদেশ না ,বিশ্বের বহু দেশের হাজারো চিকিৎক গ্রাজুয়েশন-পোস্ট গ্রাজুয়েশন করে তিনি ভুল চিকিৎসার দায়ে অভিযুক্ত
ফৌজদারি মামলার এক নাম্বার আসামি!! তাও অভিযোটা কোন সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে না,একেবারে খোদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রক্টর থেকে।।
কথায় কথায় ভাংচুরের মত উচ্ছৃংখল নোংরামির বৈশিষ্ট্য নিয়ে এরা কিভাবে এত গৌরব বোধ করে ।।
এই দেশের শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপিঠের শিক্ষার্থীদের নমুনা।।
আর তাদের ভাষার ব্যবহার কি মধুর !!একুশে পদকপ্রাপ্ত একজন সম্মানিত চিকিৎসক সম্পর্কে তাদের ভাষার ব্যবহার দেখে আমি স্তম্ভিত । তবে বিশ্বাস অবিশ্বাসের এই তরংগ এক দিনে তৈরি হয় নি, কিছু অসাধু সাংবাদিক এবং কিছু নকলবাজ অনুকরনীয় সাংবাদিক (যারা কোন বিচার বিবেচনা ছাড়াই যা
শুনে তাই বিশ্বাস করে প্রকাশ করে) কারনে। একবার ভাবুনতো,একজন ডাক্তার হয়ে আমি ভুল ধরব বিচারকের ,উকিলের আইনি জ্ঞানের, প্রকৌশলীর প্রকৌশল জ্ঞানের, ব্যাপারটা খুবই অসস্থিকর এবং এটাই এখন হর হামেশা হচ্ছে।।
এবং সমাজ ও দেশের জন্য এটা ভয়াবহ পরিনতি ডেকে আনছে। চিকিতসার জন্য কথায় কথায় আমাদের অন্য দেশে ছুটতে হচ্ছে, হয়রানি হতে হচ্ছে । আমাদের মনে রাখা দরকার কোন পেশাজীবীকে অন্য পেশাজীবী কিংবা সমাজের প্রতিপক্ষ বানানোতে দেশের জন্য কখনো কোন সুফল এনে দিতে পারে না। এটা ক্ষতিকর।। আরেকটা কথা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে ডাক্তাররা ভুলের উর্ধ্বে কিংবা বাংলাদেশের সকল ডাক্তারই খারাপ। ভুল চিকিতসাকে ঢালাওভাবে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করলে ডক্তাররাও তাদের নিয়মিত চিকিতসা কার্যক্রমে নিরুতসাহিত হতে পারেন ।
সব শেষে বলতে চাই ,সব কথারই হোক সেটা ইতিবাচক বা নেতিবাচক কিছু না কিছু প্রভাব তৈরি হয়। এবং এখন আপনারা যে কথায় কথায় ভুল চিকিৎসা ভুল চিকিৎসার ধুয়ো তুলতেছেন তার শাস্তি অচিরেই আপনাদের সামনে হাজির হবে,কারন আমরা সামনে তৈরি করছি এক নকলবাজ,প্রশ্নফাসকারী নতুন প্রজন্ম যারা অন্যান্য প্রফেশনের মত ডাক্তারিতেও অচিরেই প্রবেশ করবে,এবং তখনই আপনারা বুঝবেন ভুল চিকিৎসা কাহাকে বলে এবং উহা কত প্রকার ও কি কি?
একটু ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করেন।।
ডাঃ মোঃ তাজুল ইসলাম,
লেকচারার, আদ-দ্বীন আকিজ মেডিকেল কলেজ।